এই আমাদের ভাল থাকা
মোঃ অলিউল্লাহ্
ক্রমাণ্বয়ে এ শহরটি একটি ঝুঁকিপূর্ণ শহরে রূপান্তরিত হচ্ছে। প্রায় নয় মিলিয়ন মানুষের বসবাস এ শহরে, যা দিনদিন এটি বসবাসের অযোগ্য হচ্ছে। একটা মারাত্মক সংকট আমাদের তাড়া করছে প্রতিনিয়ত। প্রতিদিন অসংখ্য মানুষ প্রাণ হারাচ্ছে নানা রকম অসামঞ্জস্যতা ও অপরিকল্পিত নগর ব্যবস্থার কারণে। যান্ত্রিকতার সাথে সাথে এখানকার মানুষগুলোও যন্ত্রের মতো পরিশ্রম করে, সকাল-সন্ধ্যা, দিনে-রাতে। প্রশ্ন কতটা নিরাপদে আছি আমরা?
সড়ক দূর্ঘটনা, ভূমিকম্পে ভবন ধসে পড়া, অগ্নিকান্ড, নানা রকম ভোগান্তি ছাড়াও রয়েছে, পারস্পরিক দ্বন্দ্ব, রাজনৈতিক ও অরাজনৈতিক কলহ এবং সংঘর্ষ। নিরাপত্তা নেই জেনেও আমরা প্রতিনিয়ত ছুটে চলি এক ভয়াবহ বিপদের দিকে।
কিছুদিন আগের একটি ভয়াবহ তান্ডবের কথা বলি। ২১শে ফেব্রুয়ারি ২০১৯ রাজধানীর চকবাজারে ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে কয়েকটি বহুতল ভবন পুড়ে ভস্মিভূত হয়ে যায়। প্রায় ৮১ জনের মৃত্যু আর অর্ধশতাধিক মানুষ হয়েছে মারাত্মকভাবে আহত। অত্যন্ত যন্ত্রণাদায়ক হলেও সত্যি যে, আগুনের ভয়াবহতা এত বেশি ছিল, যা নিয়ন্ত্রণে আনতে প্রায় তেরো ঘন্টা লেগে গিয়েছিল।
এমন কিছু দৃশ্য চোখের সামনে আসে যা মর্মান্তিকতাকে পাশ কাটিয়ে আরো বেশি বিধ্বংসী মনে হয়। মানুষের দেহ পুড়ে কঙ্কালও ছাই হয়ে যায়। একটি বাচ্চাকে বাঁচাতে দুই যুবক তাকে জড়িয়ে ধরেছিল, কিন্তু মৃত্যুকে জয় করতে পারেনি সেই শিশু। অথচ সেই জড়িয়ে ধরা অবস্থাটি ছিল দৃশ্যমান। অন্তঃসত্তা স্ত্রীকে বাঁচাতে না পেরে স্বামীর সহমরণ।
কিছুদিন যেতে না যেতেই আরো একটি বিধ্বংসী দূর্ঘটনা ঘটে গেল ২৮ মার্চ ২০১৯ তারিখে। বনানী কামাল আতাতুর্ক সড়কের পাশে এফআর টাওয়ার ২২তলা ভবনে আগুন লেগে মর্মান্তিক মৃত্যুর পথে ঢলে পড়ে অনেক মানুষ। প্রাণের সাথে লড়াই করে অনেকে কোন রকমে ফিরতে পারলে দাবানল কেড়ে নেয় তাদের অঙ্গ। জীবন বাজি রেখে অনেকেই উদ্ধার করেছেন ভয়াবহ আতংককে উপেক্ষা করে।
শতশত মানুষের চোখের সামনে কিভাবে দোযখের দাবানল জ্বলে ওঠে তা সবাই প্রত্যক্ষ করেছেন। দুইদিন পর অর্থাৎ ৩০ মার্চ ২০১৯ তারিখ শনিবার সকালে আরেক তান্ডব শুরু হয় ভোর পাচঁটায় গুলশান কাঁচাবাজারে। কোন ব্যক্তির হতাহতের খবর না পাওয়া গেলেও খেটে খাওয়া সাধারণ ব্যবসায়ীরা হয়েছেন নিঃশ্ব। কাঁচা বাজারের শতাধিক দোকানের জিনিসপত্র পুড়ে ছাই হয়ে যায়।
এমনই সকল বিপদকে উপেক্ষা করে আমাদের শহুরে জীবন। ঢাকা শহরের ফুটপাতেও গাড়ি চাপা পড়ে মারা যায় আমাদের মতো সাধারণ মানুষ। রাস্তায় বেপোরোয়া গাড়ি চলাচলের জন্য প্রতিদিনই ঘটে বিভিন্ন দূর্ঘটনা। হাজারো রকমের সমস্যা জীর্ণশীর্ণ আমাদের এই শহুরে জীবন। তবুও আমাদের ভাল থাকার আপ্রাণ চেষ্টা। আছি তো ভাল কোন রকম।
০০০০০০০০০০০০০০০০০০০০০০০০০০০০০০০০০০০০
বাংলা প্রবন্ধ - বিপন্ন সময়ের কথা
অন্য সকল কবিতা, গল্প ও উপন্যাস পড়তে ক্লিক করুনঃ
কিছুদিন যেতে না যেতেই আরো একটি বিধ্বংসী দূর্ঘটনা ঘটে গেল ২৮ মার্চ ২০১৯ তারিখে। বনানী কামাল আতাতুর্ক সড়কের পাশে এফআর টাওয়ার ২২তলা ভবনে আগুন লেগে মর্মান্তিক মৃত্যুর পথে ঢলে পড়ে অনেক মানুষ। প্রাণের সাথে লড়াই করে অনেকে কোন রকমে ফিরতে পারলে দাবানল কেড়ে নেয় তাদের অঙ্গ। জীবন বাজি রেখে অনেকেই উদ্ধার করেছেন ভয়াবহ আতংককে উপেক্ষা করে।
শতশত মানুষের চোখের সামনে কিভাবে দোযখের দাবানল জ্বলে ওঠে তা সবাই প্রত্যক্ষ করেছেন। দুইদিন পর অর্থাৎ ৩০ মার্চ ২০১৯ তারিখ শনিবার সকালে আরেক তান্ডব শুরু হয় ভোর পাচঁটায় গুলশান কাঁচাবাজারে। কোন ব্যক্তির হতাহতের খবর না পাওয়া গেলেও খেটে খাওয়া সাধারণ ব্যবসায়ীরা হয়েছেন নিঃশ্ব। কাঁচা বাজারের শতাধিক দোকানের জিনিসপত্র পুড়ে ছাই হয়ে যায়।
এমনই সকল বিপদকে উপেক্ষা করে আমাদের শহুরে জীবন। ঢাকা শহরের ফুটপাতেও গাড়ি চাপা পড়ে মারা যায় আমাদের মতো সাধারণ মানুষ। রাস্তায় বেপোরোয়া গাড়ি চলাচলের জন্য প্রতিদিনই ঘটে বিভিন্ন দূর্ঘটনা। হাজারো রকমের সমস্যা জীর্ণশীর্ণ আমাদের এই শহুরে জীবন। তবুও আমাদের ভাল থাকার আপ্রাণ চেষ্টা। আছি তো ভাল কোন রকম।
০০০০০০০০০০০০০০০০০০০০০০০০০০০০০০০০০০০০
বাংলা প্রবন্ধ - বিপন্ন সময়ের কথা
অন্য সকল কবিতা, গল্প ও উপন্যাস পড়তে ক্লিক করুনঃ
No comments:
Post a Comment
Thanks for your comment