
বাংলা সাহিত্যের গুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর সম্পর্কে নতুন করে বলবার কিছুই নেই। যা কিছুই রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর সম্পর্কে বলা হবে তা হবে খুবই সীমাবদ্ধ। কিন্তু তিনি সাহিত্যের এমন কোন সীমা নেই যা অতিক্রম করেন নি। সাহিত্যের এমন কোন শাখা নেই যেখানে তিনি মুক্ত পাখির মতো ঘুরে বেড়ান নি। তিনি সাহিত্যের সকল শাখাকে ভেঙ্গেচূড়ে গড়েছেন নতুন আঙ্গিকে। বাংলা সাহিত্যের পরিপক্বতা পেয়েছে তাঁর হাত ধরেই। সাহিত্যের যদি কোন অপূর্ণতা থাকে তা পূর্ণতা পেয়েছে তাঁর রচনার ভান্ডারে। কিন্তু আমি প্রকৃতপক্ষে সেসব বলতে এখানে আসিনি, আর আমার উদ্দেশ্যটাও একটু ভিন্ন। আমি মূলত সাহিত্যের প্রতি অনুরাগী ও সাহিত্যের শিক্ষার্থীদের কথা মাথায় রেখে রবীন্দ্রনাথের বিভিন্ন কাব্যগ্রন্থ, উপন্যাস, গল্প, প্রবন্ধ ও অন্যান্য সাহিত্যের উপাদান নিয়ে আলোচনা করতে চাইছি। যাতে যে কেউ সাহিত্যের বিভিন্ন গতানুগতিক প্রশ্ন ও উত্তরের জন্য গদবাধা গাইড বই ও নোটের উপর নির্ভর করতে না হয়। যেন এই সাহিত্য বিষয়ক আলোচনার মাধ্যমে নির্দিষ্ট প্রশ্ন বা প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার মাধ্যম হিসাবে প্রয়োগ করতে পারে। আমি আশা করছি সকল স্তরের শিক্ষার্থীরাই এই সাহিত্য সমালোচনার দ্বারা উপকৃত হবে।
বলে নিচ্ছি রবীন্দ্রনাথের ভূমিকা বাংলা সাহিত্যে কতটুকুঃ
* তিনি সর্বমোট কাব্যগ্রন্থ রচনা করেন ৫২ (বায়ান্নটি)।
* উপন্যাস ১৩ টি।
* নাটক ৩৮ টি।
* প্রবন্ধ ৩৬ টি।
* ছোটগল্প ৯৫ টি।
*সঙ্গীত ১৯১৫ টি।
এছাড়া ‘রবীন্দ্র রচনাবলী’, ‘গীতবিতান’, ‘পত্রসাহিত্য’ রচনা করেন ও ‘গীতাঞ্জলি’ কাব্যগ্রন্থের ইংরেজি অনুবাদের জন্য নোবেল পুরস্কার তাঁর ভান্ডারে জমা পড়ে। তিনি কবি, চিত্রকর, গায়ক, নাট্যকার, ঔপন্যাসিক, প্রাবন্ধিক, অভিনেতা আর একজর বিজ্ঞ দার্শনিক। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে কেবল বাংলা সাহিত্য নয় বরং অন্যান্য সকল সাহিত্যের সাথে তুলনা করলেও এমন একজন সাহিত্যিক খোঁজে পাওয়া বিরল। আমি প্রথমত রবীন্দ্র উপন্যাস নিয়ে বিশদ আলোচনা করবো। এখানে উপন্যাসের বিষয়বস্তু, পটভূমি, প্রশ্নপত্র বিবেচনা করে সেসবের উত্তরের নিমিত্তে তৈরি করবো বিশ্লেষণাত্মক প্রশ্নোত্তর। এভাবে ধারাবাহিক আলোচনার মাধ্যমে ক্রমান্বয়ে সাহিত্যের প্রতিটি বিষয় নিয়ে লিখবো।
রবীন্দ্র উপন্যাস পড়তে এই লিংকে ক্লিক করুনঃ
লেখক মোঃ অলিউল্লাহ’র শ্রেষ্ঠ ও বিখ্যাত উপন্যাস “মহাপ্রয়াণ” পড়তে ক্লিক করুন- শ্রেষ্ঠ উপন্যাস
No comments:
Post a Comment
Thanks for your comment