বিপন্ন সময়ের কথা
বিশিষ্ট জনের কথা যে সর্বশ্রেষ্ঠ উক্তি ও ভক্তির জন্য গ্রহণযোগ্য সেটাতো কারো অজানা নয়। মানুষ হিসেবে আমরা কেউ ভুলের উর্ধ্বে নই। তবে এমন যদি হয়, কিছু মানুষ বিশেষ কিছু ক্ষেত্রে ভুলের উর্ধ্বেও অবস্থান করতে পারে। হয়তো তা খুব অসস্তিকর কিংবা আপত্তিকর কোন বিষয় নাই বা হতে পারে। সমস্ত ভাবনার দুয়ার খুলে দিয়ে মাঝে মধ্যে ভাবতে ইচ্ছে করে, আবার ডর ও লাগে। কেউ হয়তো জিজ্ঞাসা করবে, কেন এ ডর কেন আবার?
আমার তখন একটু রসিকতা করা ছাড়া নিজেকে রক্ষা করা খুব মসিবত হবে। একটা মুচকি হাসি দিয়ে বলতে হবে, ভাই বেশি ভাবলে যে মানুষ আমায় পাগল ভাবা শুরু করে। আচ্ছা দেখুন তো কী জ্বালা, আমি কোন একটা বিষয় নিয়ে ভাবি আর ঐসকল মানুষেরা আমাকে নিয়ে ভাবে। শুধু পার্থক্য এতটুকু আমি সারা দুনিয়ার আজব সব বিষয়ে যখন মগ্ন,তখন এরা আমাকে পাগল বানানোর জন্য ব্যস্ত। কেউ হয়তো বলবে, আপনি ক্ষেপে যান না তখন?
একটু তো মাথাটা নাড়তেই হয়। না না, মাথা নেড়ে উত্তরটি কিন্তু হ্যা দেই না। বরং একটা প্রবণতা আমার মধ্যে দানা বেধেছে, মেনে নেওয়া। এমনকি কোন একটা কাজ খুব সঠিক ভাবে করার পর যখন সামান্য কারণে এর গুণাগুন হারায়, তখন যে তার বাকি শ্রমের কথাও মিথ্যে হয়ে যায়, তেমনি অকপটেই নিজেকে হারিয়ে দেই কিংবা সামান্য ভুলকে অসামান্য ভুলের অভিযোগ হিসাবেও মেনে নেই।
আসলে কোন যেকোন কারণে একটা আতঙ্ক আমায় তাড়া করে, আর তাই কখনো কখনো বিদ্রুপাত্মক বা বিদ্রোহী মনোভাব থেকে নিজেকে বের করে একজন অতি তুচ্ছের দলে নিয়ে আসতে বেশী সময় লাগেনা। ব্যাপারটা কি একটু গোলমেলে মনে হচ্ছে?লেখার আপাদ-মস্তক খোঁজে পেতে কষ্ট হচ্ছে? দাড়ান, একটু সহজ করে বলছি, তবে আমার সহজ বিষয়টা এত জটিল না বানিয়ে আমি যে বলতে পারি না। আমি জানি এতে কারো কারো খুব গা জ্বলে কিংবা গালি দিতেও ইচ্ছে করে। তাই বলে কি আমি ব্যক্তিত্ববোধের দূর্বলতা প্রকাশ করতে পারি। হ্যা মাঝে মাঝে ইমম্যাচুউর হয়ে হয়তো সেটাও করে ফেলি।
যাহোক, যখন কোন মানুষের সুষ্ঠু মস্তিষ্কের প্রয়োগ কোন বৈষম্যের কথা ভাবতে হয়, তখন পরিস্থিতি তাকে খাট করে রাখতে বাধ্য করে। যে ব্যক্তিটা দুনিয়ার সকল সত্যিকথা চাইলেই বলে দিতে পারে, তবে তার অস্তিত্বকে টিকিয়ে রাখার ভয়ে, ভীরু প্রজা হতেও দ্বিধা হয় না।
আসলে আফসোস করার তো কিছু নেই। কারন ঐ যে মানিয়ে নেওয়ার প্রবনতা। যখন বেপরোয়া গতিশীল সকল যন্ত্রণার মুখে লাগাম দেওয়ার দুঃসাহস থাকে, তখন সামান্য প্রাপ্তিকে ফিরিয়ে দেওয়া যায় ঘাড় বাকা করে। কান্না পায়, বিষণ কান্না পায় যখন খুব অসহায় হয়ে মেনে নেই পরাজয়কে। আবার সেই পরাজয়ের সাথে তামাসা করতে ছাড়ি না। আমি হয়তো সেই ক্ষমতাসীন কেউ নই যে, উগ্র কন্ঠে/বলিষ্ঠ স্বরে প্রতিবাদী হয়ে প্রতিপক্ষের আপত্তিকর কথার বিপরীতে অবস্থান করতে পারি। তবে হ্যা, নিজেকে বা নিজের সত্ত্বাকে বিসর্জন না দিয়ে একটু উদ্ভট আচরণ করে আবারো করি একটু পাগলামি।
বলছেন সান্ত্বনা কুড়ানোর অভিপ্রায়ে এসব বলছি? মোটেও না। সময় কখন আমায় উদ্ভট হিসাবে পরিণত করেছে, বুঝে ওঠতে সময় লেগেছে। আমি কিন্তু এই জড়তাকে মানিয়ে নিয়েছি, উপভোগও করছি। আর আপনাকেও বলছি, ভাই হোন না একবার উদ্ভট, দেখেন না আবেগ-অনুভূতিহীন হয়ে কেমন লাগে। ভাল না লাগলে না হয়, সেখান থেকে প্রত্যাবর্তন করবেন।
........................................................................................................................
No comments:
Post a Comment
Thanks for your comment