Showing posts with label কবিতা. Show all posts
Showing posts with label কবিতা. Show all posts

Tuesday, June 28, 2022

ভাল লাগার অন্য নাম

 ভাল লাগার অন্য নাম

মোঃ অলিউল্লাহ্


ভাল লাগার অন্য নাম,

তুমি আমি মিলে ভালবাসার খাম।

যে অভিমানে মনের গহীনে,

ভালবাসা জমে সংগোপনে, 

না বলা সে কথা, না দেখানো সে আবেগ-

দূরত্ব বাড়ায়, মন দূরে হারায় নিয়ে প্রবল বেগ।


তবুও আসি ছুটে, ঐ মিষ্টি ঠোঁটে

বলো যদি ভালবাসি, তবে ফিরে আসি।

রয়ে যাই তোমারি, ভুলে সব অভিমান

থাকবো তোমারি, পিছু ফেলে পিছুটান।

সম্পূর্ণ পড়ুন...

Thursday, November 18, 2021

তাহার স্মৃতিতে আমি

 কেন যেন মনে হয় সে ফিরবে কোন এক অবকাশে।

শরতের বাতাশে কাশফুলগুলো দূরে যাবে মিশে।

লেকের ধারের বেঞ্চটা পরে থাকবে ফাকা,

চারিপাশে সে দেখতে পাবে, আমার ছবি আকা।

সেই কাঁধে মাথা রেখে, জগতের ভাবনারা তাকে করে দিশেহারা,

একদিন সবকিছুই পাবে সে আগের মতো,

দাড়িয়ে থাকবে আমি ছাড়া।

ভাঙ্গবেনা ভুল তার যতদিন বেঁচে আছি,

আসবেনা সব ভুলে, কেবল আমার হয়ে, কাছাকাছি।

সম্পূর্ণ পড়ুন...

Sunday, July 18, 2021

হেদায়াতের সুর, মোঃ অলিউল্লাহ্

 হেদায়েতের সুর

ওহে মুসলমান, সময় থাকিতে সৎ পথে আসো, মজবুত করো ঈমান।

নাই বেশি দেড়ি,ফুরাবে বেলা, নষ্ট করোনা সময় করে অবহেলা।

যে ভবের মায়ায় রয়েছো মাতিয়া, রহিম-রহমান নাম ভুলিয়া,

কি জবাব দেবে হিসাবের দিনে, যবে শূন্য আমল নিয়ে যাবে চলিয়া?


নির্বোধ তুমি করো উপহাস, যে ডাকে তোমায় সৎ পথে আসো,

পথভ্রষ্ট হয়ে আনন্দে হাসো, উদ্দেশ্যহীন তরীতে ভাসো।

নামাজ পড়না, রাখোনা রোজা, বাড়াচ্ছ দিনদিন পাপের বোঝা,

কড়ায়-গণ্ডায় হিসেব নেবে- হারাম কাজের পাইবে সাজা।


ওহে মুসলমান, সত্যের পথে হও আগুয়ান

ছেড়ে দাও আজি ধান্দাবাজি, চুরি, সুদ, ঘোষ আর মিথ্যে বলা,

দিনশেষ হলে সব হারাবে, শেষ হয়ে যাবে এ পথ চলা।

মুসলিম বাবার ছেলে হলেই, হবে কী মুসলমান? 

ঈমানদার হতে না পারিলে, আল্লাহ-রাসূল না চিনিলে

তুমি কেমন মুসলমান? 


ওহে মুসলমান, এখনি সময় ফিরে আসিবার দ্বীনের পথ ধরে,

মসগুল থাকো ইবাদতে দিবস-রজনী জুড়ে, নূরের প্রদীপে আলোকিত করো তব অন্তরে।

কোরআন বুঝে তিলাওয়াত করো, হাদিস পড়ো রোজ,

দ্বীনের কাজে আগুয়ান হয়ে সত্যের করো খোঁজ।


স্মরণ করো বিপদ এলে, মুক্ত করেন কে?

সারা জাহান নিয়ামত দ্বারা পূর্ণ করেছেন যে।

কবরের ডাক আসবে যখন, থাকবে কী আর উপায়?

তাইতো আজই সাদা কাফনে তৈরি করো তোমায়।


সম্পূর্ণ পড়ুন...

Saturday, October 17, 2020

অনুশোচনা


অনুশোচনা

মোঃ অলিউল্লাহ

 একদিন আমিও অন্ধকারে ঢিল মেরেছি,

কালোকে সাদা ভেবে বোকা বনে গিয়েছি।

কতইনা বীরত্ব দেখিয়ে একে ওকে বলতে চেয়েছি ভালোবাসি,

পরে অবশ্য দু’একটা জায়গায়, বড্ড নাকানি-চোবানি খেয়েছি।



তবুও বলতে তো পেরেছি বলে কী বাহাদূরীটাইনা করেছি!

দিনশেষে আমিও বুঝতে পেরেছি, কাল বেলায় অবেলাবোধ করে বেলা ফুরিয়েছি।

কী দরকার ছিলো? হিসেব কষার সময় কী ছিলো?

বয়সটাই যত নষ্টের মূল। নাকি ভাবনাগুলোই ছিলো এলোমেলো?


এখনকার মতো তখন যদি বুঝতাম!

কী করতে? মহৎ কোন সাধু-দরবেশ বনে যেতে?

আরে নারে! নেহাত নিজেকে দোষমুক্ত তো রাখতে পারতাম।

কিন্তু সেই ভাবনারা যে ডুবে ছিলো অচেনা এক মগ্নতাতে।


তবে আজ কেন হঠাৎ এসব বলছো শুনি?

নিজ দোষে করেছি ভুল কত তাহাই গুণি।

যে গ্লানি আজ বিবেকের তাড়নায়, সে তো জাগেনি সেই ক্ষণে

অপরাধী হয়ে বয়ে বেড়াই কলঙ্ক কত, তাহা ভুলি কেমনে।


তুমি তো এখন, আর নও তেমন- 

কিসের এতো ভাবনা তোমার?

ভাবনা! সে তো মহা যাতনা 

যত ভালোর ভান্ডার, করে দিচ্ছে মন্দরা চুরমার।


আশাকে দিও না হতাশার জলে ভাসিয়ে,

জাগ্রত বিবেকের অপার চেষ্টায় যাও মন্দকে ডিঙ্গিয়ে।

দেখবে এ কেবলি তোমার নিজেকে চেনার উপায় বৈ কিছু নয়

দিশেহারা ভাবনারা সব মানবে পরাজয়।


যে পথে পাবে  সত্যের আহ্বান, কল্যাণের জয়গান, সর্বসুখের বাণী

তারে লও টানি, ধারণ করো বক্ষে তোমার, যে দিয়েছে দরশন

মন-প্রান উজাড় করে তাঁহারে লও মানি।

সেদিনের বক্রতা ভুলে, সৎ পথে রাখো নিজের নিয়ন্ত্রন।


যে কর্মে তুমি স্রষ্টাকে খুজে পাও, 

যে পন্থায় তুমি পরকালের দেখা পাও,

তাহাকে চিরতরে আপন করিয়া নাও 

এর চাইতে শ্রেষ্ঠ কিছুই নহে, পারলে খুজিয়া দাও।




সম্পূর্ণ পড়ুন...

Wednesday, October 7, 2020

আমি দ্রষ্টা

 আমি দ্রষ্টা সেই নির্মমতার

যেখানে দেখি দুর্বলের প্রতি দুর্ব্যবহার।

যেখানে দেখি অপপ্রয়োগ ক্ষমতার,

দেখি যেখানে দুশ্চরিত্র ও অত্যাচারির বর্বরতার।


স্বাধীন দেশ হয়েছে কবেই, মানুষ পরাধীন রবেই-

যদি না দেশে স্বাধীনতা আসে মানুষের মাঝে

যদি না দেশ কর্তাগণ জাগ্রত হয় বিবেক তাড়িত হয়ে,

ততদিন নিরব সবাই অসহায়ে, ততদিন মুখ খুলবেনা মৃত্যু ভয়ে।


যেখানে পিতার সম্মুখে সন্তান খুন হয়,

যেখানে স্বামীর সম্মুখে স্ত্রী ধর্ষিত হয়,

যেখানে মায়ের সম্মুখে মেয়ে লাঞ্ছিত হয়,

সে দেশের আইন কী করে নিশ্চুপ রয়?


অপরিকল্পিত সিদ্ধান্তের কারণে সহস্র মানুষের মৃত্যু দেখেছি

মহামারিকে আমন্ত্রণ করে লক্ষ মানুষের কর্মহীনতা দেখেছি,

বেহিসেবি দূর্নীতির বাহারি রূপ দেখেছি,

আর স্তব্ধ হয়ে অসহায় মানুষের দুঃখগাথা গল্প লিখেছি।


ক্ষমতার দাপোটে সেচ্ছাচারিতার বৈরি প্রভাবের দ্রষ্টা আমি

কলঙ্কের কলুষতাকে মুছে ফেলে, উচ্চরবের চাপাবাজি শুনেছি

পিড়িতে বসার যোগ্যতা রাখেনা যে,তাকেও দেখেছি মঞ্চের সিংহাসনে

জ্ঞানী-মহাজ্ঞানীকেও এমাটির বুকে  অপমানিত ও লাঞ্ছিত হতে দেখেছি।


আমি কেবলি মামুলি এক দ্রষ্টা, ফরিয়াদ করি হে মহান স্রষ্টা

নিশ্চয়ই তোমার অগোচর নয় কোন কিছু,

সবি তুমি জানো কে কোথায় সমান-অসমান, কোথায় উচুনিচু।

এও জানি তুমি শ্রেষ্ঠ বিচারপতি,

 সবকিছুর সঠিক বিচার করবে এটাই আকুতি।

সম্পূর্ণ পড়ুন...

Tuesday, February 25, 2020

তোমার অবাধ্য স্বপ্নরা

বাংলা কবিতা - তোমার অবাধ্য স্বপ্নরা || মোঃ অলিউল্লাহ্

তুমি করছো বাস, অভ্যাসের দাবানলে
দেখছো তুমি অগ্নিকান্ড, প্রকান্ড ধরাতলে।
যে বিশ্বাস পারে করতে জয়, যত তোমার ভয়
ভ্রান্ত সে বিশ্বাসে, মানছো গো-হারা পরাজয়।

সর্বত্র তোমায় ঘিরে থাকে যে সংকট আর সংঘাত
সবি তো নিয়তি নয়, অনেক কিছুতেই আছে তোমারি হাত।
অনীহা তোমার জ্ঞানলাভে আর বৃথা সব জয়লাভে।
ভাবায়না এক মূহুর্ত সেই অতীত তোমায়, আর মানায় না হার কোন অভাবে।

বুক ফাঁটা আর্তনাদ আর অতিরঞ্জিত আবেগের বাড়াবাড়িরা ইদানিং শান্ত
সংস্পর্শের সজীবতা, তপ্ততনুর উগ্র চাহিদারা ধীরে ধীরে হচ্ছে ক্লান্ত।
তোমার সমস্ত অবাঞ্ছিত কৌতুহল মিটানো কী কম দায়ী তোমার এ জীবনে?
অচেতন ও অস্থিরতা ছাড়া কী পেয়েছিলে তুমি সবখানে?

যে মোহে হয়েছিলে অন্ধ, আত্মভোলা, পেয়েছিলে যে আনন্দ-
ভেবেছো কী কবু? কতোটা হবে মঙ্গলকর তোমার জীবনে আর কতটা হবে মন্দ?
দায় সারা যাপিত জীবন কী বয়ে আনে কবু কাঙ্ক্ষিত সুখের ধারা?
যে আকাঙ্ক্ষাতে মিশেছিলো অলিক প্রচেষ্টা, তাহাই করেছিল তোমায় আত্মহারা।

তোমার চাহনিতে আজকের পৃথিবীটা খেলনাঘরের আঙ্গিনা,
জানালা দিয়ে যতদূর দেখো তুমি, তার বাইরে ছিলোনা তোমার কোন ধারণা।
বিজ্ঞান, যান্ত্রিকতা, শ্রম ও জ্ঞানের কদরে মানুষ আজ তৈরি করছে তাদের অবস্থান,
সেখানে তুচ্ছ সকল আবেগ, জেদ, অনুভূতি ও সাধারণ চেষ্টাতে অভিযোগের বর্তমান।

তীরে তীরে তরী বেয়ে বেয়ে, যে নীড় বাধার স্বপ্ন তুমি দেখেছিলে
মরুপ্রান্তরে বাস করে তুমি, যে তরুর ছায়া খোঁজায় মগ্ন ছিলে-
হিসাব কষে বিভ্রান্ত, কদাচিৎ বিষন্নতায় ডোবে থাকো- এই ভেবে কী পেলে আর কী হারালে।
না হয় বানালে মোরে অপরাধী, দোষে মোরে যদিও সামান্য সুখ পেলে।
সম্পূর্ণ পড়ুন...

Wednesday, February 19, 2020

তুই ছাড়া আমি বলে কিছু নাই || মোঃ অলিউল্লাহ্

বাংলা কবিতাঃ তুই ছাড়া আমি বলে কিছু নাই


তুই আমার শান্ত দৃষ্টিকে করছিস অশান্ত,
উদ্যমতা ও উৎফুল্লভাবকে নিমেষেই কেমন করছিস নির্জীব আর ক্লান্ত।
যে চোখে দেখছি দিনের আলো আর রাতের অন্ধকার-
প্রায়শই তুই আমায় ভুলিয়ে দিস, করে দিস আমার সত্য বিশ্বাসকে ভ্রান্ত।

যারা রাতের স্বপ্ন নিয়ে ভাবে না, কাক ডাকা ভোরের কথা ভাবেনা, বসন্ত কিবা শরৎ নিয়েও ভাবে না-
তারাতো তাদের ভাবনা নিয়েও ভাবে না।
তুই আমার মাঝে সৃজন করিস দুনিয়ার সমস্ত চিন্তার,
সেই চিন্তা নিয়েও চিন্তা করতে বাধ্য করিস বারবার।

তোর চাওয়াতে রাত্রি জাগি, মন্দকে ভালো ভাবি আর ভালোকে কবু ভাবি মন্দ
তোর চাওয়াতে রোদেলা দুপুরে বৃষ্টির কল্পনায় ডুবি, বিরহকাতর হয়ে বোধ করি স্বাচ্ছন্দ।
তোর ইশারায় নিজেকে উচ্চ আসনে অর্পন করি, 
তাচ্ছিল্যে তোর মূহুর্তেই হই সর্বহারা ও স্বজনহারা, সব চাওয়া যে তোরই।

মুক্ত বাতাসে নিজেকে ভাসিয়ে উড়ে যাই মহাজগতের কিনারে কিনারে,
অতি নগন্য হতে বিশালতম বস্তুটিকেও দেখি তোর মতো করে।
আমি পাপী, আমি অপরাধী, আমি নির্দয়, আমি খামখেয়ালি,
আমি উন্মাদ, আমি উদাসীন, আমি একান্ত সার্থপর হয়ে তোর পথেই চলি।

আমি কখনো কাতর নিজের শোকে, কখনো কাতর পরের লাগি
সারাদিন যায় যেমনি নিজেকে ভেবে, তেমনি আবার পরকে ভেবেও রাত্রি জাগি।
তুই আমায় মুগ্ধ করিস স্বর্গসুধা পান করিয়ে, 
পরক্ষণেই যে ব্যস্ত রাখিস ইহলোকের ভাবনায় মিলায়ে।

তুই শিখালি আপন পর আর সুজন দুর্জন
শিখালি তুই বন্ধু কে, আর কে প্রিয়জন।
তুই জাগালি সুপ্ত বাসনা, কামনার তৃষ্ণা আর মোহ মায়া।
উতলা করিয়া তুই কাছে টানতে চাইলি প্রিয়ার কায়া।

ভালবাসা ও স্নেহের সামান্য অভাবেই তুই প্রচন্ড ব্যকুল
নিজের চাওয়াকে পেতে তুই আমায় দিয়ে করাতে পারিস শত ভুল।
কখনো আবার তুই সামান্যতেই দারোণ তৃপ্ত,
কখনো কখনো দুঃসাহসী করে তুলিস আমায়, কখনো আবার ক্ষিপ্ত।

তোর ইচ্ছাতে আমি খেটে যেতে পারি রাত-দিন
কোন কাজেই লাগে না ভালো তোর মর্জি বিহীন।
আমি যে তোর কৃতদাস, আমি যে তোর হাতের নাটাই-
তোর দ্বারা সদাই নিয়ন্ত্রিত আমি, তুই ছাড়া আমি বলে কিছু নাই।



সম্পূর্ণ পড়ুন...

Tuesday, February 18, 2020

অনুভবে ও আনমনে তুমি, মোঃ অলিউল্লাহ্

অনুভবে ও আনমনে তুমি

জানি ফেরানো যাবে না মনকে কোনমতে
বারবার ভাসবে তুমি দু’নয়নে, রাখবে আমায় বেধে তোমাতে।
টুকরো অভিমান যাচ্ছে বেড়ে,
থাকছি, না থাকার মতো তোমায় ছেড়ে।

নাইবা বলছি কোন কথা, নাইবা বুঝতে দিলাম বুকের ব্যথা
নাইবা হলো স্বপ্ন পূরণ, তবুও অঙ্কিত হলো স্মৃতির পাতা।
প্রকৃতিটা তোমার সাজানো আয়না,
চোখজোড়া তাই দেখতে তোমায়, ধরে শত বায়না।

নিবিড় জোসনা ও যে তোমায় ভুলতে দেয়না,
জেগে থাকা রাতগুলোতে বাড়ায় যন্ত্রণা।
জানি চোখের আড়াল করা যাবেনা, এও জানি নিশ্বাস বন্ধ রাখতে পারবোনা
পারলে হয়তো তোমায় জড়ানো বাতাস, আমার নাকে এসে পৌছাতো না।

তুমি পারছো নিজেকে গুটিয়ে রাখতে, লুকিয়ে রাখতে নিজেকে আমার থেকে
কিন্তু পারছোনা আমার স্মৃতির ফ্রেমের ছবিগুলো মুছে দিতে।
আমি জানি,  আমাকে মুক্তি দিতে তোমার পড়েনি কোন দায়, 
অজুহাত দেবারও কিছু নেই, নেই মিথ্যে বলে আমার অভিমান ভাঙানোর কোন অভিপ্রায়।

বিশ্বাস করবে কি তুমি. যদি বলি আমি তোমায় আর জ্বালাতে চাইনা?
প্রকৃতির শুভেচ্ছাস্বরূপ সুখগুলোতে তোমার, আমি অংশীদার হতে চাইনা?
মনের সাথে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ আমি, যাতনা যতই আসুক দাড়াবোনা তোমার সামনে,
শুধু থাকবো তোমার খেয়ালে, তোমায় ঘিরে আনমনে সারাক্ষণে।



সম্পূর্ণ পড়ুন...

Monday, January 27, 2020

বাংলা কবিতা, আত্মশুদ্ধি || মোঃ অলিউল্লাহ্

আত্মশুদ্ধি

মোঃ অলিউল্লাহ্

কেবল তুমিই পারো হারাতে, জেতাতে,
আমার সামান্য অভিমান দেখে মুচকি হাসতে।
আমার ভুল করা দেখেও, তুমি বাধা দিবেনা,
কারণ তুমি জানো, আমি ভুল শেষে তোমার দুয়ারে না ফিরে পারবোনা।

 কিন্তু আমার অভিমান কোথায় জানো?
আমি জানি তুমি এটাও জানো, কোন কিছুই তো তোমার হয়না অগোচর কখনো।
তবুও বলতে ইচ্ছে করে, তুমিই পাঠিয়েছো মোরে এ সংসারে
আমার শুরুটা এখানে ভালই ছিলো, শত মায়া-মততায়, আদর-যত্নে ও মহানন্দে ছিলো ভরে।

দিন দিন যখন আমি পুরান হতে শুরু করলাম, বুঝতে শুরু করলাম সবকিছু 
তখনই আমার কাধেঁ আসতে শুরু করলো ছোট-বড় কত না দায় ভার।
জানো, এখন মনে হয় আমি তো বুঝতে চাইনি কিছুই, থাকতে চেয়েছিলাম আগের মতোই।
কিন্তু এটাও বুঝলাম, তুমি আমায় পরীক্ষা করতে পাঠিয়েছো তোমার নিয়মেই।
আত্মশুদ্ধি, মোঃ অলিউল্লাহ্

তোমার গড়ে দেওয়া এ মানব মন ও দেহের খোরাক তো তুমি সংরক্ষিত করেই রেখেছো,
তবুও কেনো নানা সীমাবদ্ধতায় আমার এ জীবনকে তুমি তীব্রতর জটিল করে তুলছো?
জানি আমি, বলবে এটাও তোমার পরীক্ষা।
যাতে করে আমি ভুল ও সঠিকের তারতম্য বুঝে নিতে পারি শিক্ষা।

যখন আমি তোমার দয়া ও তোমার প্রদর্শিত আলামতের উপর স্থির,
কোন কিছুই আমার মনকে টলাতে পারে না, কিন্তু তোমার জটিল পথের বাঁকে কখনো কখনো হারিয়ে ফেলি নীড়।
জানি প্রভূ তুমি দয়াময়, তুমি সকল ক্ষমতার উর্ধ্বে, তুমি সকল প্রশংসার দাবিদার
পাপী আমি, আমি অপরাধী, আমি বার বার তোমার বিধান ভঙ্গ করি, করি নানা ভুল
বিদায়ের কথা স্মরণ হলে, আখিঁ ভাসে জলে, কী করে চাইবো ক্ষমা এই ভেবে মন ব্যাকুল।

তোমার রহমত, নেয়ামত দ্বারা করিতে পারো মোরে পরিপূর্ণ, 
তোমার দয়া ও কৃপা ভরে আমায় বানাতে পারো নির্দোষ, পাপশূন্য।
সম্পূর্ণ পড়ুন...

Monday, September 2, 2019

বাংলা কবিতা - নিশীথের প্রতিচ্ছবি

নিশীথের প্রতিচ্ছবি

মোঃ অলিউল্লাহ্


মধ্য রাতের জোৎস্না মেখে গায়, 
কামিনী, বকুল, হাসনাহেনারা বিশুদ্ধ ঘ্রান ছড়ায়। 

শিউলি সাজে আপন মহিমা ভরে। 
রজনীগন্ধাও সুরভি ছড়িয়ে, গন্ধে মাতাল করে। 

বসন্তের পূর্ণিমার আলোতে
ছুটি নিয়েছে জোনাকিরা। 
পাখিরা ঘুমিয়ে পড়েছে পরম প্রশান্তিতে, 
মনের সুখে বনের ধারে গান ধরেছে ঝিঝিপোকাড়া। 

জেগে রয়েছে আকাশে সভ্যতার প্রতীক রূপে সুপ্রাচীন ধ্রুবতারা 
পথের ধারের সুউচ্চ তালগাছটি অনন্তকাল ধরে ঘুমন্ত নগরীকে দিচ্ছে পাহারা।

আদীম হুতুম প্যাচা আক্রান্ত আজ ইনসোমনিয়ায়, 
ব্যস্ত কুকুরের দল সমাবেশ করছে, অশ্বত্থ গাছের তলায়।

নব্য নগরীর পিচঢালা পথে ছুটে চলেছে মহা ব্যস্ত যানবাহন।
সোডিয়াম লাইটের হলদে আলো ঝড়ে পড়ছে ল্যাম্পপোষ্টের নিচে।
অচেনা পথিক খোঁজে চলেছে রূপকুমারীর আমন্ত্রণ। 
অতৃপ্ত কামনার স্রোতে গা ভাসিয়ে, ব্যক্তিত্ব ও সম্ভ্রম গিয়েছে ঘুচে।



প্রকৃতির নিয়মে ফুটপাতে ঘুমিয়ে পড়া একদল পথবাসী
নিয়তির নির্মমতায় ক্লান্ত তারা, জগতের দিকে চেয়ে হাসে উপহাসের হাসি।
দিনের পৃথিবী বদলে গেছে যুগের ঘুর্ণিতে সমান্তরাল
রাতের পৃথিবীর রূপ হয়তো থেকে যাবে ধোয়াশায় অনন্তকাল।
সম্পূর্ণ পড়ুন...

কাশফুল, মোঃ অলিউল্লাহ

কাশফুল 

মোঃ অলিউল্লাহ


মধ্যদুপুরের চঞ্চল হাওয়ায় আমি উড়ন্ত কাশফুল,
আমার গতিপথ থমকে দিলো তোমার এলোচুল।
আলতো আদরে কোমল স্পর্শ করেছো আমার গায়
আমিও কেমন পোষ মেনেছি, তোমার চোখের ইশারায়।

ভবঘুরের মতো আমি উড়ে উড়ে বেড়াই
আমায় বাঁধে মায়ার বাঁধনে কারো সাধ্য নাই।
কখনো উড়ি আকাশপানে, কখনো ভাসি জলে 
কখনো ঘুরিফিরি একেলা ‍, কখনো বা কোলাহলে।



অচেনার তুমি প্রিয়চেনা হলে
পরম যত্নে কাছে টেনে নিলে।
সহসা আমি দেখিলাম তোমায় বিষণ অভিমানে
উড়িয়ে দিলে আবার আমায় উদাস বায়ুর সনে।
সম্পূর্ণ পড়ুন...

Thursday, August 29, 2019

ভোরের স্বপ্ন

      ভোরের স্বপ্ন       

মোঃ অলিউল্লাহ


ভাবতে ভাবতে দিন কেটে যায়,
চারিদিকে শুধু ভাবনার ঘোর
সুযোগ পেলেই, ব্যস্ত সে কাজে
বুঝিনা দিন-রাত, সকাল দুপুর।

যাক সে কথা, বড্ড মাথা ব্যথা
কেনই বা হবেনা, ভাবনা যে ছাড়ছেনা কিছুতেই।
ভাবি কী আর স্বাদে?
যৎসামান্য মানুষ হলেও, কত দায় মোর কাঁধে!


মনে পড়ে? এককাপ চা হাতে, তোমার সাথে হলো পরিচয়
গোবেচারা দেখতে আমায়, বসে ছিলেম তোমার বারান্দায়।
আপাদমস্তক তুমি অপূর্ব স্নিগ্ধতায় মুখরিত,
কেবল সারল্যতার অন্তরালে ধরা পরেছিল নিরব অভিনয়।

আগমনে তোমার গুছে গিয়েছিল একাকীত্বের দুঃভাবনা,
মনে জেগেছিল, নব উৎসবের রঙ মিছিল আর স্বপ্নময় সম্ভাবনা।
হারজিতের অংক কষা গিয়েছিলাম ভুলে, নিয়েছিলাম একটুখানি স্বস্তির নিঃশ্বাস
পূর্ণিমার আলোতে ঝড়ে পড়েছিল শিশিরের মতো সিক্ত ভালবাসা ও বিশ্বাস।

খামখেয়ালি আল্পনা আঁকা হলে,
দুষ্টু মিষ্টি হাসিমাখা গল্প বলার ছলে,
জাগিয়েছিলে উষ্ণ তনু, মনের পিপাসা
হিম হয়ে এসেছিল কামনারা, মুগ্ধ হলো অতৃপ্ত অমানিশা।

তোমার চোখে আমার পরিচয়,
কোন রকম মানিয়ে নিলেই হয়।
মানিয়েই গিয়েছি আমি, 
সয়ে চলেছি রাগ, অভিমান আর সকল পাগলামি।

তুমি এখন বড্ড বেশি আধুনিক, 
যুগের হাওয়ায় গা ভাসিয়েছো বেশ
কোন কথায় নেইকো জড়তা,
আঞ্চলিকতার সামান্য নেই রেশ।

ইদানিং আবার জোটেছে বন্ধুমহল,
নানান রকমের আড্ডাবাজিতে করছো কোলাহল।
আমিও কেমন সেকেলিই রয়ে গেছি
রক্ষণশীল মানসিকতা নিয়ে কোন রকম আছি।

বাড়ছে অনিশ্চয়তা, পাওয়া না পাওয়ার ভয়
অনিয়ন্ত্রিত জীবন আর খামখেয়ালীতে কাটাচ্ছো সময়।
দু’য়েক কথায় দেখছি তোমায়, পাল্টেছে ভাবমূর্তি
বুঝবেনা তুমি আবেগের বশে করছো নিজের ক্ষতি।  

হতাশার জালে বন্দি হয়ে আবেগকে জলাঞ্জলি দিয়েছি,
একা একা পথ চলা আর ভুলে থাকা, তোমার কাছেই শিখেছি।
কলঙ্ক এঁকেছিলাম ভাগ্যে আমার, স্নান করেছিলাম আঁখির জলে
যেদিন বুঝেছিলাম আমি, মাটি গিয়েছিল সরে চরণতলে।

কেঁদেছি কত না নিরবে নিভৃতে, 
তবুও পারিনি তোমায় ভুলে যেতে।
তুমি গিয়েছিলে বটে, 
হারালে আমায় গো-হারানো তীব্র দাপোটে।

মেনে নিয়েছি, তোমারই হয়েছে জয়
পিছুটান আর রইলোনা মোর কোন, একা চলতে নেই কোন আর ভয়।
তুমি তো এখন দারুন আছো ভালো, সদ্য পাওয়া মনের মানুষটাকে
সেও কি তোমায় আমার মতো বকে, পাগলি বলে সেও কি তোমায় ডাকে?

আমি না হয় গেলাম জলে ভেসে, 
তোমায় ভেবে মিটিমিটি হেসে।
তোমার সুখে থাকবো নাহয় সুখি, 
যন্ত্রণাকে করবো আপোষ বড্ড ভালোবেসে।

বর্তমানে যে রয়েছে তোমায় ঘিরে, 
ফিরিয়ে দিবে সমস্ত ভালবাসা কতনা যতন করে।

সম্পূর্ণ পড়ুন...

বাংলা কবিতা - ইগো

ইগো

মোঃ অলিউল্লাহ


অনিয়ন্ত্রিত ইগো আমায় করছে নিয়ন্ত্রণ,
কখনো অভিমান, কখনো ঝগড়া, কখনো ভাঙছে মন।
ইগোর তাড়নায়, বলে যা’চ্ছে তাই প্রিয়জনের কাছে- অপ্রিয় আমি
কখনো ব্রেকাপ, কখনো আড়ি, কখনো আবার ছাড়াছাড়ি, করছি কতনা পাগলামি।

সন্দেহ আর ভুল বুঝাবুঝি, 
আপোষহীন হয়ে দোষ খোঁজাখোঁজি।
হার না মানার লড়াইয়ে উভয়ে মাতোয়ারা
কেহ ভুলে যায়, কেহ পাল্টায়, কেহ হয় ঘরছাড়া।

আপনার কথা সত্য সদা, অযৌক্তিক অপরের বাণী
আপনি যাহা ভাল বলে জানি, তাহাই সদা মানি।
কেউ যদি বলে, ‘যাচ্ছো ভুলে তোমারও হতে পারে ভুল’
অসম্ভব কথা, মানবো না তা, ছাড়বোনা একচুল।

ইগো আমার দ্বিগুণ করলো জেদ,
ভাল-মন্দ, গন্ধ-সুবাসে করলো ভেদাভেদ।
কটু কথায় বোধ করি আমি বড্ড অপমান
ইগোর কারণে সেই দোষখানি বাড়লো পাহাড় সমান।

যা-ই করেছি ঠিক করেছি, অন্যায় সব তার
কি ঠ্যাকা পড়েছে, ভাঙ্গাবো ভুল আমিই বারবার।
অভিমানে বলি, সম্পর্ক টেকানোর সকল দায় কি আমার?
বলবোনা আর ফিরে আসো তুমি, ভালবাসি বলে কাছে আসবার নেই কোন দরকার।

কিছুদিন পর, মম অন্তর কেঁদে মরে হাহাকারে,
খুবই মন চায়, দেখতে তোমায় কেবল একটিবারে।
ইগো আমায় বশ করেছে, হুস নেই কিছু
বাহিরে রাগ তার প্রতি শত, ভিতরেতে ছুটি মাতাল হয়ে তাহার স্মৃতির পিছু।

নো সেকরিফাইস, নো কম্প্রোমাইজ, নট এনি সরি
মনকে বলি খুব ভাল আছি, ইউ ডন্ট ওয়রি।
দিনের শেষে ছদ্মবেশে, আমি তোমায় খুঁজি
 আমার জন্য মনটা তোমার একটুও কাঁদেনা বুঝি?




সম্পূর্ণ পড়ুন...

Wednesday, August 28, 2019

বাংলা কবিতা- অপরিচিতা

অপরিচিতা

মোঃ অলিউল্লাহ


কিছু আবেগ খরিদ করেছি,
ভালবাসার নামে দিয়েছি ব্যক্তিত্বকে জলাঞ্জলি।
তোমার মনোরঞ্জন করতে গিয়ে, সপেছি সম্ভ্রম
সমস্ত সুখ তুলে দিয়েছি তোমার হাতে-
আর স্বপ্নগুলোকে করেছি তোমার বন্ধুকের ‍গুলি।।

যে মনোবাসনা প্রকাশ করতে পারিনি তোমার সম্মুখে,
তারা যে করছে তাড়া, সর্বহারা করে পুড়াচ্ছে ধোকে ধোকে।
নিয়তির শিকলে বেধেছো আমার প্রাণ,
ইচ্ছেগুলোকে বলি দিয়েছি তোমার চরণতলে-
তোমার রূপের মোহে করেছি স্নান।



কীযে অমাবস্য, কীযে পূর্ণিমার আলো
তোমার তনুর মনোহরায় মিশে গেছে সাদা-কালো।
 কেবলি তোমার চোখের  উস্কানিতে, এ হৃদয় হয়েছে বিলীন
নতজানু হয়ে নেমেছে আকাশ মাটিতে, এক হয়ে গেছে রাত-দিন।

যদিও সদাই মম পাশে রও,
তুমি কোন কালেই মোর পরিচিত নও।
মনের নাগাল পাইনা তোমার, চিরকালই যে তুমি অধরা,
যাযাবর হয়ে ‍খোঁজে চলেছি তোমায়, পাইনি আজো তোমার মনের সাড়া।

তোমার গানের পাইনি কখনো মানে,
তবুও ছুটেছি তোমার সুরের টানে।
ছন্দ ছাড়া তোমার সমস্ত আনন্দ,
নিবিড় আত্মভোলা আর অপ্রস্তুত আমি, তোমার অভিমানে।

তুমি পোষ না মানা হরিণীর মতো সদা চঞ্চল,
এও জানি, অভিনয়ের মোড়কে আবৃত তোমার অশ্রুজল।
অন্তহীন অপেক্ষায় আমি, তবুও রয়েছি চেয়ে সেই পথপানে
অজানা নয় সে জানা, ফিরবেনা একান্ত আমার হয়ে-
কোনদিনই, কোনখানে।।
সম্পূর্ণ পড়ুন...

Tuesday, August 27, 2019

বিধায়ী চিরকুট

বিদায়ী চিরকুট


বিধায়ী চিরকুট
মোঃ অলিউল্লাহ


না চাওয়া কিছু পাওয়া
বাড়াচ্ছে যন্ত্রণা, করছে দিশেহারা।
প্রিয় কথা লাগছে বিষন্ন,অপ্রিয়
হারাচ্ছে অস্তিত্ব তার, শুনে মনের আশকারা।

হার না মানা হারে, কাবু হয়েছে মন
বিপর্যস্ত, ক্লান্ত সমস্ত ভাবনারা।
স্মৃতিরাও আজ গুটিয়ে যাচ্ছে শেষ ভেবে,
সময়ের কাছে করছে, অসহায় আত্মসমর্পন।

না চেনা সুরের টানে, ছুটতে ছুটতে পাগল প্রায়
উন্মাদনা ছড়ায়ে সে সুর, অজানা বাতাসে মিশে যায়।
ঘনকালো মেঘেদের দলে, সিক্ত অভিমানের মিছিলে
বাধা পড়ে ছিল মন, তোমার মনের স্নিগ্ধ আপোষের অন্তরালে।

মায়ারাজ্যের রানী হয়েছিলে, পড়ে ছিলে আবেগের মুকুট
আপ্লুত আমি, রিক্ত হস্তে তোমার পথে
স্তুম্ভিত হয়ে ভেবে ফেলা জীবনের যতকথা-
আঁখিজলে পড়ে ফেলা সেই, বিধায়ী চিরকুট।
সম্পূর্ণ পড়ুন...

Wednesday, April 3, 2019

বাংলা কবিতা - তুই করেছিস মোরে জয়

তুই করেছিস মোরে জয়

মোঃ অলিউল্লাহ্ 


মেয়ে তুই তো করেছিস মোরে জয়, 
জীবনের অনন্ত ভালবাসাকে করেছিস তোর একান্ত আপন। 

আমি কি আর তোকে ফিরাতে পারি বল?
ফিরবি তুই মনে প্রাণে,
যখন ভাসবি আমার হৃদয়ের আকাশে।

কি করে যাবি ভুলে, 
আমি তো তোরই, থাকবো অনন্তকালে।

তোর মধ্যেই সমস্ত আমার প্রশান্তি, 
তোর মধ্যেই আমার বিচরণ।
যেখানে তুই ছাড়া সমস্তই মহাক্লান্তি।

সম্পূর্ণ পড়ুন...

Monday, April 1, 2019

বাংলা কবিতা - সন্তানের মিনতি

একটা মানুষ, যে কখনো তাঁর মনে ধরে রাখতে পারেনা কিছু কষ্টের ও যন্ত্রণার কথা। অভিমান মনে চাপলেও, তৎক্ষণাতৎ তা ভুলে যেতে চায়। সার্থটা হয়তো খুব মুখ্য নয় সেই ভালবাসার কাছে। যেই ভালবাসা মা ও সন্তানের মধ্যে। শৈশবে লেখা কবিতাটি খুঁজে পেলাম আর তা পাবলিশ করলাম। মা কে ভালবাসাও যায়, কষ্টও দেওয়া যায়। ঋণমুক্ত হওয়া যায় না।

সন্তানের মিনতি, মোঃ অলিউল্লাহ্

সম্পূর্ণ পড়ুন...

Thursday, March 28, 2019

জন্মভূমি মা

জন্মভূমি মা
মোঃ অলিউল্লাহ্


জন্মভূমি মা, মোঃ অলিউল্লাহ্
Bangla Kobita - Jonmobhumi Maa


যবে থেকে তুমি চিনালে মোরে, তুমি মোর মা,
লক্ষ্য করেছি সবিস্ময়ে তোমার সকল উপমা।
সদাই দেখেছি তোমায় সবুজ চাঁদরে জড়ায়ে
ফল-ফসল আর পর্বত-অরন্যে, রেখেছো মা কি যত্নে সাজায়ে।

আমি জেনেছি তুমি নিষ্কলুষ, পরাধীনতা হতে হয়েছো মুক্ত
তোমায় বাঁচাতে মা, তোমার লাখ সন্তান ঢেলেছে তাজা রক্ত।
আমি দেখেছি তোমার উজ্জল দীপ্তি সোনা রোদে মাখা,
তুমি বৃষ্টি শেষে স্নিগ্ধ-কোমল-নির্মল ছবি আঁকা।

হাজার বছরের সংস্কৃতিতে গড়া, তুমি চির উন্নত,
বহু বর্ণ-ধর্ম-জাতির মানুষ তোমার কোলেতে হয়েছে আশ্রিত।
শত শত নদী বয়ে গেছে তোমার সারা অঙ্গঝুড়ে
সহস্রাধিক প্রাণীরা লালিত তোমার মহিমা ভরে।

নানান সাজে নানা ঋতুতে, তুমি কতনা রূপবতী
আকাশ-পাতাল জুড়ে, ধনরত্নে তুমি অমরাবতী।
তোমার দিগন্তে মিশেছে নীলাকাশ, বিশাল সমুদ্দুর,
এ নিয়ে হয়েছে শত কবিতা, কত না গান সুমধুর।




সম্পূর্ণ পড়ুন...

Tuesday, March 26, 2019

বাংলা কবিতা - শিশির বিন্দু

বাংলা কবিতা শিশির বিন্দু - মোঃ অলিউল্লাহ্

                                                                                                                    
শিশির বিন্দু
---------মোঃ অলিউল্লাহ্

জানি তোমার ঠোট বাঁকানোর মানে,
ফেটে যায় বুক, তবুও নিশ্চুপ
ঝুলে থাকা ধানের শিষের মতো
ক্লান্ত তুমি ভয়ংকর অভিমানে।

আর্তনাদ ও যন্ত্রণাদের বেশ করেছো বশ,
মানিয়ে নিতে শিখে গেছো সকল পরিস্থিতি,
শান্ত গলায় দেখাচ্ছে তোমায় বড্ড মেচিউর।
দেখলে কি কেউ বিশ্বাস করবে তোমার অল্প বয়স?

আরো জানি জমিয়ে রেখেছো কত ভালবাসা
এও জানি সে তোমার চোখের নালিশ
প্রাণের বাসনারা আজ দারোণ নিয়ন্ত্রিত।
সংস্পর্শেই কেবল কেটে যাবে মনের অমাবশ্যা।

গালে টোল পড়বে বলে কি তুমি আর হাসনা?
নাকি তুমি চাওনা, আমি তোমার হাসিতে মাতাল হই,
সুদীর্ঘ চুলগুলোও আর এলোমেলো করে ছেড়ে রাখোনা, সমস্ত বিছানা জুড়ে
হয়তো তোমার নিবিরতা বলে, “তুমি আর আগের মতো আমায় ভালবাসনা”।

ইদানিং তুমি আর করোনা কোন ছোটখাটো আবদার,
আগে যেমন করতে বেড়াতে যাওয়া আর ফুচকা খাবার বায়না?
তুমি আর সেই পারপেল কালারের লিপিস্টিক ঠোটে মাখো না, তাই না?
পথ আগলেও দাড়াও না “যেওনা” বলে, যখন আমার সময় হয় তোমায় ছেড়ে যাবার।

জানো, আমারও বুকের ভিতরটাতে বিষণ হাহাকার লাগে,
ছেড়ে যাবার কালে যখন তুমি দরজার চৌকাঠ ধরে অসহায় চোখে থাকো দাড়িয়ে ।
চারিপাশে যখন ফযরের আযানের ধ্বনি শোনা যায়,
তোমার আমার বুকের ভিতর  বিরহের ছোঁয়া জাগে।

জানি তুমিও পথ চেয়ে থাকো, প্রণয়মুগ্ধ স্মৃতিতে যাও হারিয়ে,
বারবার সেই বিছানায় পড়ে থাকা শার্টটি নাকের কাছে নিয়ে আমার গায়ের গন্ধ শোঁক।
ছুঁয়ে যাওয়া অনুভূতির আবডালে, মনের অবাধ্য কল্পনাদের  কর শাসন। 
ভুল করে তুমিও একবার আমার পানে হাতটি দাও বাড়িয়ে।

তুমি বরং বিরক্ত নও আমার প্রতি, এ আমার বোঝার ভুল-
লোক দেখানো রাগের ছলে মিছে অভিনয়ে প্রলোব্ধ।
অত্যন্ত নিবিড়  আর স্নিগ্ধতা ভরে,মহা অভিপ্রায়ে গড়েছো কাঙ্ক্ষিত এক প্রণয় সিন্ধু,
চির সুন্দর সত্য প্রিয়া তুমি শিশির বিন্দু।

যে লগ্ন মধুর করেছো, ভুবন ভুলায়ে মোরে করেছো একান্ত  আপন,
যে মহিমায় প্রলোব্ধ আমি, সপেছি তোমাতে সমস্ত জীবন-যৌবন,
সে কী কেবলি অতি তুচ্ছ সৌজন্যবোধ বলে বিবেচনা করো?
নাকি তুমিও অজান্তে, সযত্নে সঞ্চিত সমস্ত প্রেম করেছো অর্পণ।

জানো, আজ ইচ্ছে করে সেই রথে চড়ে, মহাকালের চক্রে হই মোরা তীর্থযাত্রী-
তবুও কি রেখেছো মনে সংশয়, এখনো কি সংকীর্ণ  তোমার মন?
হাসছো তুমি? ভাবছো এসব তোমার মন ভোলানোর আদিখ্যেতা?
সে তুমি যা-ই ভাবো, আমি বলি- তুমি আমার প্রাপ্তি নও, অর্জন। 

আমার দিগন্ত অঙ্কিত হয়, তোমার আঁখিপানে
চির বসন্ত ফিরে আসে বারবার, সূর্যকিরণ হয় স্তম্ভিত-
মহাপ্রলয়ও কড়োজুড়ে মেনে নেয় হার।
সেও যে জানে তোমার মতো, ভালবাসি তোমায় মনে প্রাণে।


                                                                                                      
সম্পূর্ণ পড়ুন...

Sunday, April 29, 2018

তুমি সত্যিই খেয়াল করোনি


তুমি সত্যিই খেয়াল করোনি
মোঃ অলিউল্লাহ্

তুমি সত্যিই খেয়াল করোনি, 
সোনালি প্রভাত কিভাবে কেটেছে।
সরু রাস্তায় সস্তা আলোচনায়, 
তর্ক উঠেছে কত- 
ফের মৃদু হাসি সামান্য আপোষে মনের ঐক্য।

 তুমি খেয়াল করোনি আমার চির অপেক্ষার প্রহরগোণা।
 রোদ্র-বৃষ্টি উপেক্ষা করে তোমার পানে ছুটে চলা।
তোমাতেই ভুলে যাওয়া অসামান্য যন্ত্রণা।
তুমি খেয়াল করোনি আমার পাহাড়সম ধৈর্য।
সমস্ত প্রাপ্তি ছেড়ে দেওয়ার সাহস, সমস্ত ঐশর্য।

কতটা মগ্নতা ছিল তোমাতে,
 নেশায় আচ্ছন্নতা।
 আপত্তিকর ভাললাগার বিষন্নতা;
 হয়তো তুমি খেয়ালই করোনি।

 তোমার সম্মুখে অসহায় প্রস্থান আমার,
 আখিঁর জল লুকিয় ছদ্ম মুচকি হাসি।
 রিক্ত হস্তে বেদনার অভিমান,
দাওনি হাতছানি একটিবারো।
 কত কী না ছিল, কত কী আরো।

 বুঝেই নিয়ে ছিলাম, তুমি সবই পারো।
 বরবাদ হওয়ার ক্ষণটুকুও তুমি খেয়াল করোনি।
 হয়তো হারিয়ে যাবো ধূসর পৃথিবী থেকে
 জানি সেদিনও তুমি খেয়াল করবেনা।
সম্পূর্ণ পড়ুন...