ক্যারিয়ার নিয়ে ভাবনা আর না, আর না
জীবনের একটা নির্দিষ্ট সময় পার করার পরই চলে আসে ক্যারিয়ার নিয়ে ভাবনা। আজ আমি আপনাদের জন্য নিয়ে আসলাম সহজ কিছু কর্ম উদ্যোগ।
সুদীর্ঘ শিক্ষা জীবন শেষ করেও অনেকে ভাল কোন পেশায় যেতে পারেন না। থাকতে হয় বেকার। পেতে হয় হতাশার নানা কথা।
আমার এ পোস্ট মূলত সেইসব হতাশাগ্রস্থ লোকদের জন্য যারা একটি কাজের অভাবে বেকার জীবন যাপন করতেছেন।
বেকারত্ব একটি অভিশাপ তাই, একদিনও বেকার না থেকে আপনার শিক্ষা ও কর্ম দক্ষতার উপর নির্ভর করে যে বিষয়ে আপনি ভালো বুঝেন সেই বিষয়ের উপর বেশি করে সময় দিন।
যেকোন পেশার জন্য যে বিষয়গুলো নিয়ে মনোযোগীহওয়ার প্রয়োজন:
১। হাতে কলমে পরিকল্পনা সেটআপ করা।
২। পরিকল্পনা অনুযায়ী বর্তমানে যে কাজের গুরুত্ব বেশি সেই কাজের উপর প্রশিক্ষণ নেওয়া।
৩। স্বল্প পরিসরে হলেও সেই দক্ষতার ভিত্তিতে একটি কর্ম সংস্থান তৈরি করার চেষ্টা করা। তা না হলে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি জানার চেষ্টা করা ও আবেদন করা।
৪। বেকার সময় নষ্ট না করে ছোট ছোট কাজ করে তা সেল করার উদ্যোগ নেওয়া।
৫। নিজের উপর ইনভেস্ট করা। যেমন: নিজের ক্যারিয়ারের জন্য পর্যাপ্ত সময় ব্যয় করা। যেকোন নির্দিষ্ট একটি বিষয়ে মজবুত দক্ষতা অর্জন করা।
ভালো ক্যারিয়ারের জন্য কোন কোন বিষয়ের উপর জোর দিতে হবে।
১। আপনি যেই কাজে পারদর্শী সেই কাজে প্রচুর সময় দেন এবং উদ্যোক্তা হওয়ার পরিকল্পনা করুন।
২। মানুষ কি বলল তা মনোযোগ না দিয়ে কাজ চালিয়ে যান। পরিশ্রম করুন, সফলতা আসবেই।
৩। পুঁজি কম থাকলে অল্প পুঁজি দিয়ে যেসব লাভ জনক ব্যবসা আছে সেগুলো নিয়ে স্টাডি করুন, যেকোন একটিকে পেশা হিসেবে বেছে নেন।
৪। লক্ষ্য স্থির রাখতে হবে। হাল ছাড়া যাবে না।
৫। চাকরি হোক কিংবা ব্যবসা, যেটাই হোক আপনি পর্যাপ্ত সময়, শ্রম ও ধৈর্য ধরতে পারলে সফলতা আসতে বাধ্য।
উন্নত ক্যারিয়ার গড়তে যেসব বিষয় অবশ্যই করণীয়ঃ
১। পড়াশোনা।
২। প্রশিক্ষণ (বিশেষ করে টেকনিক্যাল ট্রেনিং, যেমন: আইটি, ইলেকট্রিক, মটর মেকানিক, রেফ্রিজারেটর, সিভিল, টেক্সটাইল ইত্যাদি)।
৩। দক্ষতার উপর নির্ভর করে কাজের সন্ধান করা, পারলে নিজেই উদ্যোক্তা হওয়া।
৪। দীর্ঘ মেয়াদী পরিকল্পনা করা।