Saturday, October 17, 2020

অনুশোচনা


অনুশোচনা

মোঃ অলিউল্লাহ

 একদিন আমিও অন্ধকারে ঢিল মেরেছি,

কালোকে সাদা ভেবে বোকা বনে গিয়েছি।

কতইনা বীরত্ব দেখিয়ে একে ওকে বলতে চেয়েছি ভালোবাসি,

পরে অবশ্য দু’একটা জায়গায়, বড্ড নাকানি-চোবানি খেয়েছি।



তবুও বলতে তো পেরেছি বলে কী বাহাদূরীটাইনা করেছি!

দিনশেষে আমিও বুঝতে পেরেছি, কাল বেলায় অবেলাবোধ করে বেলা ফুরিয়েছি।

কী দরকার ছিলো? হিসেব কষার সময় কী ছিলো?

বয়সটাই যত নষ্টের মূল। নাকি ভাবনাগুলোই ছিলো এলোমেলো?


এখনকার মতো তখন যদি বুঝতাম!

কী করতে? মহৎ কোন সাধু-দরবেশ বনে যেতে?

আরে নারে! নেহাত নিজেকে দোষমুক্ত তো রাখতে পারতাম।

কিন্তু সেই ভাবনারা যে ডুবে ছিলো অচেনা এক মগ্নতাতে।


তবে আজ কেন হঠাৎ এসব বলছো শুনি?

নিজ দোষে করেছি ভুল কত তাহাই গুণি।

যে গ্লানি আজ বিবেকের তাড়নায়, সে তো জাগেনি সেই ক্ষণে

অপরাধী হয়ে বয়ে বেড়াই কলঙ্ক কত, তাহা ভুলি কেমনে।


তুমি তো এখন, আর নও তেমন- 

কিসের এতো ভাবনা তোমার?

ভাবনা! সে তো মহা যাতনা 

যত ভালোর ভান্ডার, করে দিচ্ছে মন্দরা চুরমার।


আশাকে দিও না হতাশার জলে ভাসিয়ে,

জাগ্রত বিবেকের অপার চেষ্টায় যাও মন্দকে ডিঙ্গিয়ে।

দেখবে এ কেবলি তোমার নিজেকে চেনার উপায় বৈ কিছু নয়

দিশেহারা ভাবনারা সব মানবে পরাজয়।


যে পথে পাবে  সত্যের আহ্বান, কল্যাণের জয়গান, সর্বসুখের বাণী

তারে লও টানি, ধারণ করো বক্ষে তোমার, যে দিয়েছে দরশন

মন-প্রান উজাড় করে তাঁহারে লও মানি।

সেদিনের বক্রতা ভুলে, সৎ পথে রাখো নিজের নিয়ন্ত্রন।


যে কর্মে তুমি স্রষ্টাকে খুজে পাও, 

যে পন্থায় তুমি পরকালের দেখা পাও,

তাহাকে চিরতরে আপন করিয়া নাও 

এর চাইতে শ্রেষ্ঠ কিছুই নহে, পারলে খুজিয়া দাও।




No comments:

Post a Comment

Thanks for your comment