Saturday, April 28, 2018

হৃদয়ে রবে চিরদিন

হৃদয়ে রবে চিরদিন
মোঃ অলিউল্লাহ্

দিব্যচক্ষু মেলে সারা ভূমন্ডলে দেখেছি  এ বিস্ময়
দেখেছি অনেকে এসেছে ধরায় হয়েছে জয়-পরাজয়।
ইচ্ছে পূরণ করতে অনেকে জীবন করেছে বিলীন,
আবিষ্কারের নেশায় অনেকে কাটিয়েছে রাত-দিন।
অবিরাম সেই সংগ্রাম চলে রক্তপাতের ধারায়
কত না মায়ের সন্তান যে নির্দ্বিধায় প্রাণ হারায়।

সম্পূর্ণ কবিতাটি পিডিএফ ফাইলে পড়ুন ও ডাউনলোড বাটনে ক্লিক করে ফাইলটি ডাউনলোড করুনঃ






একদেশ হতে অন্নদেশে করিয়াছে যারা আগমণ
জয়ের লক্ষ্যে পণ করেছে গ্রহণ করেছে মরণ।
কেউ বা আবার জয় করেছে শক্ত মুষ্টির বলে,
প্রভুত্ব করেছে শাসকের দল আমরণ রোষানলে।
সর্বত্র ছিল এরা অভাবনীয়,অজ্ঞান আর চিরান্ধ-
নিজ স্বার্থ সিদ্ধি করতে তৈরি করেছে দ্বন্দ্ব।

কালবৈশাখী ঝড় বয়ে চলেছে মম অন্ত:করণে,
আশ্বিনের তীব্র রোদ নয়, শ্রাবণের জল আঁখিকোণে।
জবান নাহি তবু খুলে,অগ্নিবাণী নিঃশব্দে শুনে-
শূন্যবাক্যে যাই শুনে; আছে যত অভিযোগ তার মনে।
হয়তো কিছু বলিবেনা ‘র, হয়তো কিছুই শুনিব না,
আজিকার পরে আর হয়তো, তারে এ দু-নয়ন দেখিবেনা।

হৃদস্পন্দন কাঁদে হাহাকারে,কাঠ হয়ে এলো গলা,
বক্ষমাঝে আছে কীযে চাপা ব্যথা,যায় নাকো খুলে বলা।
কেবলি সেই রক্তিমা বদন,অগ্নিমূরতি আঁখি,
শতচেষ্টায় ভাঙ্গবেনা রাগ,বলি যদি যাদু-পাখি।
কোমল হ্স্ত যদি বলি ধরে,যেয়োনাকো ফেলে মোরে,
কেবা শুনিবে কাহার কথা,চলিয়া যে গেল বহুদূরে।

যবে থেকে তারে দেখিয়াছি আমি, সতত সে প্রকৃতির
কেবল হয়তো বিধাতাই জানে তাহার অন্তঃনীড়।
নহে নহে সে শুধু-ই যে রাগি,সে-ই যে প্রাণের রাগিণী
মমপ্রাণের সুখের স্মৃতিতে শুধু-ই যে তার বাণী।
নিমেষেই সে যে করিয়াছে জয়,মম কঠিন হৃদয়
না যদি হবে বিনয়ী সে, কী করে হলো মোর পরাজয়।




একথা শুনিয়া বারে বারে যায়- মোরে একটি প্রশ্ন করে,
বলে সে- “কে দিয়াছে দুঃখ, কে দিয়াছে ব্যথা তব অন্তরে?
যদি না থাকে তব কোন আপত্তি,বলিতে পারো মোরে,
তব চোখের অশ্রুখানি যে কাঁদাইছে মোরে সকাতরে।”
কি করিয়া বলি তাহার নামটি,শুকিয়ে যে আসে গলা
মধুমাখা সে নামখানি তার এতসহজে কি যায় বলা?

অবাক নয়নে অধীর আগ্রহে শুনে চলেছেন তিনি,
মোটর যানে পাশের সীটে মোর, বসিয়া আছেন যিনি।
একই পথের পথিক দু’জন একই মোদের গন্তব্য,
নিশ্চুপ হয়ে শুনে চলেছেন নেই কোন মন্তব্য।
সমবেদনার চিহ্ন দেখি প্রায়ই তার দৃষ্টিমাঝে,
বোধকরি সে প্রাণের ব্যথা তার হৃদয়েও তেমনি বাজে ।


ঐ প্রাতঃকালে যাত্রা করেছিনু সেই পাখির কোলাহলে
অন্ন কিংবা,একবিন্দু জল কিছুই পড়েনি এ গলে ।
রাজধানী হইতে এ মস্ত মোটরযানে ওঠিয়াছিনু একা,
বিধাতার নামে যাত্রা করেছিনু পকেট ছিল ফাঁকা ।
না জানি কি বলে নামিয়ে দেয় মোরে- বুক কাপে এই ভয়ে,
এমনি মুহুর্তে আসিলেন তিনি নেহাত দেবদূত হয়ে।


‘জয়ন্তিকা’ নাম যেন তার পাহাড়ি অঞ্চলে বাড়ি,
সদ্য বিবাহিতা অপরূপা আর মায়াবতী সেই নারী।
সহস্র গুণে গুণান্বিত শিক্ষা-দিক্ষায় ও যথেষ্ট ভালো,
তবু যে তাহার দু’টি চোখ জুড়ে রইলো না সেই আলো।
সবকিছু যে আছে তার চলার জন্য টাকা,গাড়ি,বাড়ি-
তবুও কেন যে প্রিয় স্বামী তাহার করিয়াছে ছাড়াছাড়ি।

বুকেতে তাহার এতযে ব্যথা কে বলিতে পারে সামনে এসে,
মুখে কেবল চাঁদের হাসি,থাকে সর্বদা সুখীর বেশে।
উচু বংশের মেয়ে হলেও যে বলবেনা কেউ অহংকারী,
মনেপ্রাণে সে  ভালোবাসলেও, স্বামী যে তাহারে গেল ছাড়ি।
অসহায় ‘র নিরুপায় হয়ে একাকী চলেছে অজানাতে
জানে না সে কি যে হইবে পরে ,চোখ ভিজে না অশ্রুপাতে।

যখনি হেল্পার চেয়েছে টাকা, দেখি এদিক-ওদিক ফিরি
এমতাবস্থায় গালি দিয়ে বলে আমি নাকি এক ভিক্ষেরী।
একথা শুনিয়া নেত্রকোনে অশ্রুঝড়িল স্রোতের ধারায়,
ফিরিয়া মোর পানে সান্ত্বনা দিল চোখের ইশারায়।
অতঃপর দেখি আপন কালো ব্যাগে হাত দিয়ে খুজিল,
সদ্যতোলা সে ব্যাংকনোটখানা হেল্পারের হাতে দিল।

বড় লজ্জায় মুখ্খানি মোর কি করি,কোথায় লুকাই-
তাজ্জব চোখে দেখি তার পানে বলিবার কিছু নাই।
ফিরে যাই সেই পুরানো দিনের রঙ্গিন স্মৃতির মাঝে,
কত টাকা-কড়ি,হস্তে ধরি উড়াইয়াছি সকাল সাঝে।
মায়ের ছিলুম কলিজার টুকরো,বড় বাসিত ভালো,
অভাগারে ছাড়ি অভিমান করে মাও যে হারালো।



মস্তকে না রাখিত মোরে, না রাখিত  মাটির উপরে,
মুরগির মতো আচলের তলে রাখিত আদর করে।
আপনার কথা না ভাবিয়া সে খাওয়াইতো যে পেট ভরি,
পীড়িত হইয়াও সে ঔষুধের টাকা রাখিত যতন করি।
লোকেরে বলিত “দোয়া করিও আমার লক্ষ্মী সোনার লাগি,
শহরে থাকিয়া পড়াশুনা করে সারা দিন-রাত জাগি”।

বাড়িতে যখন যাইতাম আমি কত যে হইত খুশি,
ঘন্টার পর ঘন্টা যেন সে মুখটি দেখিত বসি।
সারা বাড়ির মানুষরে ডাকিয়া কইত আমার কথা,
বুকে টানিয়া বলিত মোরে, “বাবা, আর নাই মোর ব্যথা”।
তাহার কোমল হাতটি দিয়ে বুলাইতো মোর মাথায়,
শিরশিরিয়ে উঠতো তখন আমার সমস্ত গায়।

মোরগ,পোলাও,পায়েশ, রাধিত আরো রাধিত যে কত কি,
বলতাম হেসে রান্না করার আর কী আছে মা বাকি?
খাবারের ঘ্রাণ সমস্ত বাড়ি বাতাসেতে  ঘুরে ফেরে,
বেড়াল,কুকুর মেহমান হয়ে খেয়ে যেত লেজ নেড়ে।
খাবার শেষে মায়ের পাশে কখন যেন ঘুমিয়ে পড়ি-
ছোট্টবেলার গানটি গেয়ে হাত বুলায় আদর করি।


যতদিন আমি থাকি বাড়িতে মা যে থাকে বড়ই সুখে,
যখনই বলি চলে যাবো মা,অশ্রু ঝড়ে তার দু’ চোখে।
পিছন পিছন ছুটে আসতো  এগিয়ে দিতে পথে মোরে,
চোখের আড়াল না ‘ই যেন তাকিয়ে থাকতো বহুদূরে ।
মায়ের তুলনা করিতে পারেনা কেহই জানি এজগতে,
তাহার সমান নাইকো কিছু পাবেনা কেউ কোনমতে।


স্বপ্নেও যে ভাবে নি কখনো ভুলিয়া যাইবো তাহারে,
কষ্ট পেয়েও আসিত কাছে, মোরে একটু দেখিবার তরে।
মিছে আধারির কুয়াশার ফাঁধে হারিয়েছিনু নিজেকে,
বুঝে না বুঝে কত কষ্ট জানি দিয়েছি আমার মাকে।
যবে থেকে তাহার প্রয়োজনখানি বুঝিতে পারিয়াছি,
তখনই আমার সোনার প্রতিমা মাকে হারাইয়াছি।


ফেরেস্তা তুল্য বাবা যে মোর শুধুই ছিলনা আপন,
বৃক্ষের মতো সে ছায়া হয়ে ছিল মোর পাশে সারাক্ষণ।
প্রাতঃকালে সে হাটে যাইতো চুম্বন করিয়া মোর গালে,
চাইতাম যদি কিছু তার কাছে,‍‌‌‍ ‘না’ শুনি নি কোন কালে।
আমি যে শশী গগন মাঝেতে বাবা যে ছিল শুকতারা
একপলকে মোরে যদি না দেখিতো, হইত যে দিশেহারা।

অসুখ যদি হইতো কবু থাকতো মোর পাশে দু’জন,
সারা নিশী জেগে থাকতো ঘুমাতো না তাদের দুই নয়ন।
শত কষ্টের বিনিময়ে কাজ করিয়াছে দিনে-রাতে
মাসের শেষ না হতেই টাকা দিয়েছেন আমার হাতে।
নিজের সুখ জলাঞ্জলি দিয়া,মোরে রাখিয়াছে সুখে,
পাষন্ডের মতো সেই বাবাকেও যে ব্যথা দিয়াছি বুকে।

সমগ্র এ বসুন্ধরায় যদি কোন বৃক্ষ না জন্মাতো
হয়তো এক মনুষ্যহীন নির্জন মরু-বালুচর হতো ।
সূর্যের অস্তিত্ব যদি না থাকিতো মানুষের মাঝে,
হয়তো এ কেবলি অমারজনী ধূসরিত সকাল সাঝে।
মম এ পরিণতি  যে শূন্য গগণের নিসঙ্গ ধ্রুবতারা
বাবা-মা বিহীন জীবন যেন এমনই এক বসুন্ধরা।


শূন্য হস্তে ভিক্ষারীর বেশে ছুটে চলেছি অজানায়
অন্তরীক্ষে নিরোদ্দেশ মেঘ হয়ে বিষন্নতায় ।
আমি ডানামেলা পাখি, নিরব থাকি। কোন নালিশ নেই,
কারো প্রতি।বলতে পারো যা তা মুখ ফুটবেনা কিছুতেই।
প্রায় বহুকাল আমি চুপচাপ কোন কথা নেই মুখে,
জয়ন্তিকা-“কী হয়েছে তোমার?” ইশারা করিয়া চোখে।

সহসা আবার চমকে উঠিয়া কহিলাম কিছু তারে,
মুখে নেই বাক;হয়নি কিছু,বুঝাইলাম মাথা নেড়ে।
সেই ভাবনার অবসানে যেন গিয়েছিলাম হারিয়ে,
বিপদ সঙ্কুল ছত্রধারিণী ডাকিছে দু’হাত বাড়িয়ে।
ছিন্নমস্তা, না ছায়ামূর্তি, নাকি সে জগজ্জীবন ?
হয়তো বা সে পুবের ছুটে আসা সেই মহা সমীরণ।

অতঃপর মোরে কহিল সে ফিরে “ভাবিছ কী কিছু মনে
হয়েছে কীযে-শুধু জ্বলছো নিজে,সুধাও না কেন কোন জনে?
কী নাম তোমার আর বাবা-মা‘র,যাইবে কোথায় তুমি,
কোথায় ছিলে কোন কারণে,কোথায় তব জন্মভূমি?”
মাথা উঁচু করে দেখলাম তারে,চোখে দেখি কৌতুহল,
ভিতর থেকে বলছে যেন কে,খুলে সবকিছুই বল।

সবুজ অরণ্য-পর্বতে ঘেরা এক প্রকোষ্ঠ তার মাঝে,
উঁচুনিচু কত শ্যামল বৃক্ষ কোন তুলনা  হয় না যে।
দক্ষিণাপথের পাশদিয়ে একটি নদীপথ গেছে বয়ে,
সেথায় থাকিত সুখে,প্রৌঢ় ‘জয়নাল’ স্ত্রী-পুত্র লয়ে।
চাঁদের মতো উজ্জল আর স্বর্ণকমল বদন ,
যেই দেখিত তাহার সে রূপ মুগ্ধ করিত নয়ন।


বুকের মানিক ‘অবিনাশ’ ঘর করিয়াছে আলো
সেই নাম রাখিতে কত পণ্ডিতের মাথা যে ঘুরালো।
যদি দেখ চাহি কোন খুঁত নাহি বদনখানিতে তার,
অল্প অবকাশে প্রাণের নিঃশ্বাসে জড়াবে তোমার।
মৃদু ঐ হাসি, আখিঁ সম্মুখে যায় ভাসি যেন বাঁকা চাঁদ
দেখিবে হঠাৎ অমাবশ্যা রাত, যেন আলোকিত প্রভাত।



হয়তো যাবে ভুলে নাও যদি কোলে তোলে,সমস্ত ব্যথা
তব তরে এ মিনতি দেখ চেয়ে তার প্রতি,ভেবে মম কথা।
অদিষ্ট রূপরাশি সদা চোখে যায় ভাসি,ঐ প্রিয় মুখ
ভাঙে বাধ বাকাঁ চাঁদ,দেখে মুক্তার মতো তাহার দু’চোখ।
ধীরে ধীরে গেল বেড়ে বয়স তাহার যে হইবে পঁচিশ ,
জ্ঞানের নেইকো  সীমা তবু যে নেই গরিমা,(বঙ্গ) জগদীশ।

কি বলি শূ্ন্যজ্ঞানে,গড়েছে খুব যতনে বিধাতা তারে
আমার অধম হাতে লিখে যাই এ প্রভাতে,তোমার তরে।
প্রথম জীবনখানি কেটেছে তার ফেনী,সোনার মতো
প্রকৃতির মোহমায়া,ছেড়েছে প্রিয় ছায়া,বুকে করে ক্ষত।
অতঃপর গমন করে এসেছিল এনগরে,বিদ্যার তরে,
মামার বাসায় এসে সহজ সরল বেশে, প্রবেশ করে।

মামা থাকে একা ঘরে ভরসা পেল অন্তরে দেখিয়া তারে
আঁখিপানে চেয়ে থেকে,মামারে কহিল ডেকে,শ্রদ্ধা ভরে।
আমি-তুমি দু’এ মিলে,এই মহা মঞ্জিলে রব একসাথে,
চোখে মোর ঘুমে ভরা,শরীরে জ্বালাপোড়া,ব্যথা বুকেতে।
শুয়ে যাও তবে এখন,সুখ নেই ঘুমের মতন এ জগতে
কত যায় আসে সোনালী স্বপন শেষে জাগি প্রভাতে।

বলিতে কেউ নাহি পারে, শুধুই শহর তারে-এসে এখানে
পাখির কলরব,সবুজে ঘেরা বৃক্ষসব আছে সেখানে।
মৌমাছি ও ভ্রমর কত,ঘুরে ফেরে শত শত পুষ্পবনে
গাঁয়ের মতো করে সাজায়েছে বাড়িটারে খুব যতনে।
সোনালী এ প্রভাতে, পুষ্পের সুভাষেতে ভরে গেল মন
বসিয়া অবসরে,নানা স্মৃতির ঘোরে ভরা দু’নয়ন।

নবীন সে এ শহরে,কৌতুহল অন্তরে- সবি দেখে যায়
কত সব মানুষেরা,কর্ম লয়ে দিশেহারা এ মোহনায়।
তারি মাঝে ছুটে চলে,জীবনের মোহ ছলে একাকী পথে,
নানা রূপের মানুষেরা,হয়ে অভিনয়ে সেরা এ জগতে।
কত যে কর্মশালা-আরো আছে পাঠশালা অলি-গলিতে
কেঁটে যায় সারাদিন,কোন অবকাশহীন শহরটাতে।

‘অবিনাশ’ একমনে,তাকিয়ে নীল গগনে বাগানের পাশে,
পরন্ত বিকেল বেলা,পাখিরা করিছে খেলা চারিপাশে।
এমনি একক্ষণে,দ্বিধা হলো তার মনে-বলে,সত্য কি এই!
অপরূপ এক ললনা,দেখিয়া চোখ ফিরেনা-কোনভাবেই।
হয়ে পঞ্চমুখ,দেখে যেন তার রূপ (কী যে মায়াবিনী)।
তার এই রূপরাশি,বাতাসেতে যাবে ভাসি চিরদিন-ই।

তার ঐ এলোচুলে-কপোলের কালো তিলে,হলো বিস্মিত সে
কোন কথা নেই মুখে ,মগ্ন দেখিয়া অভিমুখে একনিমেষে।
সমস্ত কল্পনায় উদাসীন ভাবনায় ঘিরে থাকে রোজ,
সামান্য সময় পেলে, তার তরে যায় চলে- যদি মিলে খোঁজ।

এমনই এক নবপ্রভাতে, দেখা হলো তার সাথে
দেখিয়াও ভান করিল না দেখার, হাটল অগ্রপথে।
শিশিরবিন্দু পায়ে মাখিয়ে, হেটে গেল সে বাগানে
কিছুই না বলে, আড়ালে যে গেল চলে-রেখে মায়াবনে।

মনোবাসনা হয়নি প্রকাশ, কেটেগেল দীর্ঘকাল এমনি করে,
দেখাও যে নাই তার, মানেনা যে মন আমার- ব্যথা অন্তরে।
হঠাৎ এক মধ্যাহ্নে, কেহ সুধালো মোরে সে যে নাই আর
অজানা রোগে সে, উড়ে গেছে দূরাকাশে এ কেমন নিয়তি আমার।

শতচেষ্টায় বোঝেনি এ হৃদয়, মন বসেনি কোন কাজে
অসীম যন্ত্রণায় ঘিরেছে যে আমায়, সকাল দুপুর সাঝে।

মম আঁখি সম্মুখে যদি না আসিত, মেঘকালো কুন্তল না যদি ভাসিত,
যদি না দেখিত সে চঞ্চল বদন, তবে কি আজ মমপ্রাণে হতো এ দহন?
তার কারণে বিবাগী হলাম আজ, জানি সে ফিরিবেনা কোন দিন
তবে কাটাবো একা এ জীবন, বুকে পোষে রেখে তার স্মৃতি
দেবনা হতে অমলিন তোমায়, হবো নাকো আমি তুমিহীন।



No comments:

Post a Comment

Thanks for your comment