বাংলা কবিতা - তোমার অবাধ্য স্বপ্নরা || মোঃ অলিউল্লাহ্
তুমি করছো বাস, অভ্যাসের দাবানলে
দেখছো তুমি অগ্নিকান্ড, প্রকান্ড ধরাতলে।
যে বিশ্বাস পারে করতে জয়, যত তোমার ভয়
ভ্রান্ত সে বিশ্বাসে, মানছো গো-হারা পরাজয়।
সর্বত্র তোমায় ঘিরে থাকে যে সংকট আর সংঘাত
সবি তো নিয়তি নয়, অনেক কিছুতেই আছে তোমারি হাত।
অনীহা তোমার জ্ঞানলাভে আর বৃথা সব জয়লাভে।
ভাবায়না এক মূহুর্ত সেই অতীত তোমায়, আর মানায় না হার কোন অভাবে।
বুক ফাঁটা আর্তনাদ আর অতিরঞ্জিত আবেগের বাড়াবাড়িরা ইদানিং শান্ত
সংস্পর্শের সজীবতা, তপ্ততনুর উগ্র চাহিদারা ধীরে ধীরে হচ্ছে ক্লান্ত।
তোমার সমস্ত অবাঞ্ছিত কৌতুহল মিটানো কী কম দায়ী তোমার এ জীবনে?
অচেতন ও অস্থিরতা ছাড়া কী পেয়েছিলে তুমি সবখানে?
যে মোহে হয়েছিলে অন্ধ, আত্মভোলা, পেয়েছিলে যে আনন্দ-
ভেবেছো কী কবু? কতোটা হবে মঙ্গলকর তোমার জীবনে আর কতটা হবে মন্দ?
দায় সারা যাপিত জীবন কী বয়ে আনে কবু কাঙ্ক্ষিত সুখের ধারা?
যে আকাঙ্ক্ষাতে মিশেছিলো অলিক প্রচেষ্টা, তাহাই করেছিল তোমায় আত্মহারা।
তোমার চাহনিতে আজকের পৃথিবীটা খেলনাঘরের আঙ্গিনা,
জানালা দিয়ে যতদূর দেখো তুমি, তার বাইরে ছিলোনা তোমার কোন ধারণা।
বিজ্ঞান, যান্ত্রিকতা, শ্রম ও জ্ঞানের কদরে মানুষ আজ তৈরি করছে তাদের অবস্থান,
সেখানে তুচ্ছ সকল আবেগ, জেদ, অনুভূতি ও সাধারণ চেষ্টাতে অভিযোগের বর্তমান।
তীরে তীরে তরী বেয়ে বেয়ে, যে নীড় বাধার স্বপ্ন তুমি দেখেছিলে
মরুপ্রান্তরে বাস করে তুমি, যে তরুর ছায়া খোঁজায় মগ্ন ছিলে-
হিসাব কষে বিভ্রান্ত, কদাচিৎ বিষন্নতায় ডোবে থাকো- এই ভেবে কী পেলে আর কী হারালে।
না হয় বানালে মোরে অপরাধী, দোষে মোরে যদিও সামান্য সুখ পেলে।
No comments:
Post a Comment
Thanks for your comment