ঘন মেঘে আবছায়া
বিন্দু, চলো আজ তোমায় নিয়ে খেলতে যাবো।
বিন্দু- না বাপি আজ যাবো না। আজ আমি সারাদিন ঘুমাবো।
বাপি- এমন বলোনা মা, তাহলে যে আমার কষ্ট হবে।
বিন্দু- ওমা তোমার কষ্ট হবে কেন?
বাপি- কারণ আমার আম্মুটা সারাদিন ঘুমিয়ে থাকলে, আমি কার সাথে কথা বলবো?
বিন্দু- But I will sleep for the whole day and it can be forever.
বাপি- চিঃ মা, এমন কথা তোমার কাছে আমি কখনোই শুনতে চাইনা। আর কখনো এমন কোনো কথা বলবেনা। You are so cute my dear. Each and every moment I miss you and I never think about my single footstep without you.
এখন চলো তোমায় নিয়ে ঘুরতে যাবো।
বিন্দু- তাহলে প্রমিজ করো, প্রতিদিন আমায় নিয়ে ঘুরতে যাবে।বাপি- অফকোর্স, মাই ডিয়ার। আই উইল নেভার ফরগেট ইট। ডু ইউ হ্যাপি নাও? বিন্দু- হ্যা বাপি। আমি অনেক খুশি। তুমি একটু অপেক্ষা করো আমি রেডি হয়ে আসছি।
রায়হান মজুমদার, এক আদর্শ বাবা, যার বয়স এখন পয়ত্রিশ এর কোঠায়। একটি বেসরকারি ব্যাংক এ চাকরি করতেন তিনি। কিন্তু আদরের মেয়েটিকে সময় দিতে পারবেন না বলে চাকরিটা ছেড়ে দেন। পরে একটি বেসরকারি কলেজে শিক্ষকতার পেশায় নিজেকে দাখিল করেন। পৃথিবীতে কেবল মেয়েটিই তার বেঁচে থাকার অনুপ্রেরণা।শিশুদেবীর গুণে ও সৌন্দর্যে মায়াবতী, মুখের প্রতিচ্ছবি মুহুর্তেই পাষাণ হৃদয়কে কোমল হৃদয়ে পরিণত করতে সক্ষম। এমন মেয়ে যেন প্রকৃতির সকল সৌন্দর্যের পশরা গায়ে মেখে পৃথিবীতে এসেছে। তবে সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে সে জন্মের পর তার মাকে দেখতে পায়নি। অসামান্য দায়িত্ববোধ যার পৃথিবীর অসহায় মানুষের প্রতি, তার ভালবাসা ও দায়িত্ব কেবল কম পড়েছিল নিজ মেয়ের জন্য।
এখন চলো তোমায় নিয়ে ঘুরতে যাবো।
বিন্দু- তাহলে প্রমিজ করো, প্রতিদিন আমায় নিয়ে ঘুরতে যাবে।বাপি- অফকোর্স, মাই ডিয়ার। আই উইল নেভার ফরগেট ইট। ডু ইউ হ্যাপি নাও? বিন্দু- হ্যা বাপি। আমি অনেক খুশি। তুমি একটু অপেক্ষা করো আমি রেডি হয়ে আসছি।
রায়হান মজুমদার, এক আদর্শ বাবা, যার বয়স এখন পয়ত্রিশ এর কোঠায়। একটি বেসরকারি ব্যাংক এ চাকরি করতেন তিনি। কিন্তু আদরের মেয়েটিকে সময় দিতে পারবেন না বলে চাকরিটা ছেড়ে দেন। পরে একটি বেসরকারি কলেজে শিক্ষকতার পেশায় নিজেকে দাখিল করেন। পৃথিবীতে কেবল মেয়েটিই তার বেঁচে থাকার অনুপ্রেরণা।শিশুদেবীর গুণে ও সৌন্দর্যে মায়াবতী, মুখের প্রতিচ্ছবি মুহুর্তেই পাষাণ হৃদয়কে কোমল হৃদয়ে পরিণত করতে সক্ষম। এমন মেয়ে যেন প্রকৃতির সকল সৌন্দর্যের পশরা গায়ে মেখে পৃথিবীতে এসেছে। তবে সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে সে জন্মের পর তার মাকে দেখতে পায়নি। অসামান্য দায়িত্ববোধ যার পৃথিবীর অসহায় মানুষের প্রতি, তার ভালবাসা ও দায়িত্ব কেবল কম পড়েছিল নিজ মেয়ের জন্য।
বিন্দুর জন্মের দুইমাস পরই জাপানের একদল স্বেচ্ছাসেবী নারীর সাথে অসহায় মানুষের পাশে থাকতে, দেশ ত্যাগ করেন। অতি অস্বাভাবিক বিষয়টিকে রায়হান মজুমদার স্বাভাবিক ভাবে গ্রহণ করলেন। কোনদিন এতটুকু রাগও হয়নি স্ত্রীর প্রতি।সদাহাস্য, সদাচঞ্চল, প্রাণমুগ্ধকারী মেয়েটির মুখের কথাগুলো যেন নদীর কলকল ধ্বনির মতো টসটস উচ্চারিত হয়। ভয়-ডরহীন হরিণ ছানার মতো তার অবাধ বিচরণ প্রকৃতির সর্বত্র। আর সেই প্রকৃতির খেয়ালেই বিন্দু পার্কের বেঞ্চিতে বসে মসা, মাছি, পিঁপড়া ও কীটপতঙ্গদের সাথে খেলায় মেতে ওঠে। সে এদের কে তার অতিথি হিসাবে বরণ করে নেয়।
একদিন বিন্দু স্কুল থেকে ফেরার পথে, স্কুল বাসের জানালা দিয়ে একটি পাগল লোককে দেখতে পায়। পাগল লোকটি স্কুলবাসটি থেমে থাকতে দেখে বাচ্চাদের কাছে গিয়ে পানি চায়। কিন্তু বাচ্চারা তাকে দেখে খুব ভয় পায়। কিন্তু বিন্দু তার হাতের মামপটটি দিয়ে দিলো। তবে তখনি গাড়িটি ছেড়ে দেওয়ায়, পাগল লোকটি গাড়ীর পিছন পিছন দৌড়াতে থাকে। তখন বিন্দু তাকে দেখে চিৎকার করে কাঁদতে থাকে। তবে তা তার মামপটের জন্য নয় ; বরং লোকটি কোন গাড়ীর নিচে পড়ে কিনা সেজন্য।
বিকাল বেলা বিন্দু বারান্দায় মন খারাপ করে বসে আছে। আর তখনি সে পাগল লোকটিকে তার বাড়ীর সামনের রাস্তায় দাড়িয়ে আইসক্রিম খেতে দেখলো। সে আরোও দেখলো তার মামপটটি লোকটির গলায় ঝুলানো। এই দেখে সে হেসে ওঠলো। এই দৃশ্যটিই যেন তার আনন্দের সামিল। পরদিন বিকালে বিন্দু বাবার সাথে পার্কে ঘুরতে গেলে, সেখানে সে আবার ঐ লোকটিকে দেখতে পেল আর বাবাকে টেনে লোকটির কাছে নিয়ে গেলো।
লোকটি বলল- hi baby, this is Ashfak. I am from mental hospital. But believe me, I am not mad. But people do not trust me. Will you make me your friend?
বিন্দু প্রথমে কিছুটা অবাক হলেও পরে তার কাছে স্বাভাবিক মনে হয়। তারপর বলল- Uncle I am Noor Sadiya Bindo.You are really a good person. You can take me as your friend.
রায়হান সাহেব বিষয়টিকে খুব উপভোগ করলেন। পরদিন একই জায়গায় আবার তার সাথে দেখা। আশফাক বিন্দুকে বলল- ‘তুমি শুনবে?’
একদিন বিন্দু স্কুল থেকে ফেরার পথে, স্কুল বাসের জানালা দিয়ে একটি পাগল লোককে দেখতে পায়। পাগল লোকটি স্কুলবাসটি থেমে থাকতে দেখে বাচ্চাদের কাছে গিয়ে পানি চায়। কিন্তু বাচ্চারা তাকে দেখে খুব ভয় পায়। কিন্তু বিন্দু তার হাতের মামপটটি দিয়ে দিলো। তবে তখনি গাড়িটি ছেড়ে দেওয়ায়, পাগল লোকটি গাড়ীর পিছন পিছন দৌড়াতে থাকে। তখন বিন্দু তাকে দেখে চিৎকার করে কাঁদতে থাকে। তবে তা তার মামপটের জন্য নয় ; বরং লোকটি কোন গাড়ীর নিচে পড়ে কিনা সেজন্য।
বিকাল বেলা বিন্দু বারান্দায় মন খারাপ করে বসে আছে। আর তখনি সে পাগল লোকটিকে তার বাড়ীর সামনের রাস্তায় দাড়িয়ে আইসক্রিম খেতে দেখলো। সে আরোও দেখলো তার মামপটটি লোকটির গলায় ঝুলানো। এই দেখে সে হেসে ওঠলো। এই দৃশ্যটিই যেন তার আনন্দের সামিল। পরদিন বিকালে বিন্দু বাবার সাথে পার্কে ঘুরতে গেলে, সেখানে সে আবার ঐ লোকটিকে দেখতে পেল আর বাবাকে টেনে লোকটির কাছে নিয়ে গেলো।
লোকটি বলল- hi baby, this is Ashfak. I am from mental hospital. But believe me, I am not mad. But people do not trust me. Will you make me your friend?
বিন্দু প্রথমে কিছুটা অবাক হলেও পরে তার কাছে স্বাভাবিক মনে হয়। তারপর বলল- Uncle I am Noor Sadiya Bindo.You are really a good person. You can take me as your friend.
রায়হান সাহেব বিষয়টিকে খুব উপভোগ করলেন। পরদিন একই জায়গায় আবার তার সাথে দেখা। আশফাক বিন্দুকে বলল- ‘তুমি শুনবে?’
বিন্দু- কি শুনবো?আশফাক- একটা গল্প শুনবে?
বিন্দু- ওহ শিউর। টেইল মি অ্যাবাউট ইট।
আশফাক - আমি যখন এমএসসি পাশ করি, তখন আমরা যারা খুব ভালো ফল করেছি- তাদের নিয়ে সংবর্ধণা দেয়া হয়। পুরস্কারও দেওয়া হয়। তো সকলের নাম ডেকে তাদের হাতে ক্রেস্ট তুলে দেয়। আমি তখন ভেবেছিলাম আমি পাবো না। তখনই আমার ডাক পড়লো, বলল এবার পুরস্কার নিবেন আমাদের সেলিব্রেটি। মজার বিষয় হলো সেখানে এক শিল্পী বসা ছিলেন। নাম ডাকার পর সেও স্টেজে গেলেন, আমিও গেলাম। যদিও আমি কিছুটা কনফিউজড ছিলাম, যার কারনে ওনার পিছনে দাড়িয়ে ছিলাম। প্রিন্সিপাল স্যার ধমক দিয়ে বলল, তুই পিছনে কেন সামনে আয়। তারপর আমার হাতে ক্রেস্ট তুলে দিল। সেলিব্রেটি বলার কারন হলো, আমি সবসময় চাইতাম একজন শিল্পী হবো, আর তাই সবাই আমাকে সেলিব্রেটি বলে ডাকতো। অন্যদিকে ওই শিল্পী ভদ্রলোক খুবই অপ্রস্তুত হলেন।
বিন্দু ফেলফেল করে হেসে ওঠলো। তারপর আশফাক বললো, লেখাপড়া শেষে একটা ব্যবসা করে অনেক টাকার মালিক হই আমি। তারপর ভালো লাগে এক মেয়েকে। বিয়েও করলাম তাকে। আমার একটি ফুটফুটে মেয়ে হলো। তিনবছর পর, একরাতে হঠাৎ ভূমিকম্প শুরু হলো। আমরা সবাই রাস্তায় বেড়িয়ে পড়লাম। অসংখ্য মানুষের ভীড়ে আমি আমার মেয়েকে হারিয়ে ফেললাম। আমার স্ত্রী আমায় ক্ষমা করতে পারলোনা, কিন্তু আমার মেয়েটি কে আর খুজে পেলাম না।
বিন্দু- তুমি কি তখন এই শহরেই থাকতে?
আশফাক- হ্যা। আমি ধীরে ধীরে পাগলের মতো হয়ে যাচ্ছিলাম। আর এদিকে আমার স্ত্রী তার চাচাতো ভাইয়ের সাথে সম্পর্ক করে, এক সময় আমার পাগলামি দেখে সে আমায় ছেড়ে চলে যায়।বিন্দু- তুমি কি তখন সত্যিই পাগল ছিলে?
আশফাক- না, যখন সে আমাকে এড়িয়ে চলতে শুরু করলো, তখন আমি ইচ্ছে করেই পাগলামি করতাম। তবে মেয়েকে খুঁজতে, আমি রাস্তায় রাস্তায় আজো পাগলের মতো ঘুরি। পাইনি আজো তাকে আমি।
বিন্দু- জানো আমি না, কখনো মাকে দেখিনি। তবুও আমার কখনো খারাপ লাগেনি। আজ কেন জানি আমার খুব কাঁদতে ইচ্ছে করছে। চোখের জলগুলো অঝড়েই নেমে আসলো। পাগল নামক ব্যক্তিটি আবার অচেনা পথে হাটতে শুরু করলো।
বিন্দু ফেলফেল করে হেসে ওঠলো। তারপর আশফাক বললো, লেখাপড়া শেষে একটা ব্যবসা করে অনেক টাকার মালিক হই আমি। তারপর ভালো লাগে এক মেয়েকে। বিয়েও করলাম তাকে। আমার একটি ফুটফুটে মেয়ে হলো। তিনবছর পর, একরাতে হঠাৎ ভূমিকম্প শুরু হলো। আমরা সবাই রাস্তায় বেড়িয়ে পড়লাম। অসংখ্য মানুষের ভীড়ে আমি আমার মেয়েকে হারিয়ে ফেললাম। আমার স্ত্রী আমায় ক্ষমা করতে পারলোনা, কিন্তু আমার মেয়েটি কে আর খুজে পেলাম না।
বিন্দু- তুমি কি তখন এই শহরেই থাকতে?
আশফাক- হ্যা। আমি ধীরে ধীরে পাগলের মতো হয়ে যাচ্ছিলাম। আর এদিকে আমার স্ত্রী তার চাচাতো ভাইয়ের সাথে সম্পর্ক করে, এক সময় আমার পাগলামি দেখে সে আমায় ছেড়ে চলে যায়।বিন্দু- তুমি কি তখন সত্যিই পাগল ছিলে?
আশফাক- না, যখন সে আমাকে এড়িয়ে চলতে শুরু করলো, তখন আমি ইচ্ছে করেই পাগলামি করতাম। তবে মেয়েকে খুঁজতে, আমি রাস্তায় রাস্তায় আজো পাগলের মতো ঘুরি। পাইনি আজো তাকে আমি।
বিন্দু- জানো আমি না, কখনো মাকে দেখিনি। তবুও আমার কখনো খারাপ লাগেনি। আজ কেন জানি আমার খুব কাঁদতে ইচ্ছে করছে। চোখের জলগুলো অঝড়েই নেমে আসলো। পাগল নামক ব্যক্তিটি আবার অচেনা পথে হাটতে শুরু করলো।
No comments:
Post a Comment
Thanks for your comment