Thursday, September 19, 2019

ভুল করে ভুলে ভুলে (মোঃ অলিউল্লাহ্)

ভুল করে ভুলে ভুলে

এটাই হয়তো মেঘের উপর অভিমানের ছায়া,  অযাচিত আকস্মিক ভাবনার আড়ালে- যখন এসে দাড়ালে; ভুলেই গিয়েছিলাম,  এ আমি কেবলি কী তোমারই আমি! শিশিরে ভেজা দূর্বা হলে হয়তো কেউ না কেউ,  আলতো আদরে পা মারাতো।  তবে তোমার বিচরণটা সেখানে ঘটতো কিনা সন্দেহাতীত।  চঞ্চলমনা অবুঝ শিশুটির মতো তুমি হাসি ঠাট্টায় উঠলে লজ্জাবতীর সাথে।  অতি স্পর্শকাতর লজ্জাবতীরা তোমার আঙ্গুলের সুরসুড়িতে লজ্জায় মুখ লুকায়।  তেমনি কি সাদামাদা বিশ্বাসটাকে আকড়ে ধরলে?এতটা স্বাভাবিক হতে কে তোমায় মিনতি করেছিলো,  বলতে পারো? ওহ আমিই বা কেন তোমায় প্রশ্ন করছি।  ভুল হয়ে গেছে লক্ষ্মীটা,  আমি ভুলে গিয়েছিলাম- তুমি কোন প্রশ্ন,  কোন উত্তর,  কোন ধাঁধাঁ বা জটিলতার দূরত্বে অবস্থান করো
প্রায়শ্চিত্তের আবরণে মোড়ানো আমায় তুমি দেখ- অপার কৃপা আর মহিমায়।  অফুরন্ত বিশ্বাসের ভান্ডারে তোমার হৃদয় ভাবনাগুলো কতইনা পবিত্র।  বলতে সাহস হবেনা কোনদিনই,  মুখফোটে কখনোই হয়তো নিজেকে দোষারোপমুক্ত করতে যেতে পারবোনা তোমার ছায়াস্পর্শে।  কী অদ্ভুত তোমার সরলতা, কতইনা অসামান্য তোমার বিশালতা!  

প্রতিহিংসায় প্রায়শই জ¦লে মরি তোমার বিপরীতে।  বড় কষ্ট হয় মেনে নিতে যে,  কেন তুমিই জিতবে? কেন তুমিই এত সহনশীল হবে? আমার কি কোন যোগ্য অভিনয়ও ছিল না,  যা দিয়ে তোমায় কলঙ্কিত করা যায়? আজ বড়োবেশি ইচ্ছে করছে খুব যত্ন করে তোমার সমাধীতে দু’ফোটা অশ্রু ফেলতে; কিন্তু তুমি আমার ভিতরটাতে এতো বেশি বিচরণ করছো যে,  পরম খরায় একটু একটু করে অশ্রুজল গুলো শুষ্ক দীর্ঘশ্বাসে পরিণত করেছো। 

সারাদেহের পশমগুলো মরুভূমির খেজুর বৃক্ষের মতো হাহাকারে ক্লান্ত।  হাজার বছরের পূরণো  নদী হয়ে আরাধনা করেও তোমার করুণাকামী হওয়া হলোনা।  আজ আমি মৃত নদী,  যার বুক জুড়ে চর জেগেছে আর সেখানে বৃক্ষরাজির অরন্য। 

তবুও কত আহাজারি তোমার তরে,  ওগো প্রিয় এখনতো ক্ষমা করো।  আজ মনে হয় তোমার মহিমা,  দাম্বিকতায় পৌছেছে।  তবে জানতে ইচ্ছে হয়,  আমি কি মনেপ্রাণে পরাজিত হতেও পারলাম না?
......................

No comments:

Post a Comment

Thanks for your comment