Tuesday, July 20, 2021

বাংলা সাহিত্যে কাজী নজরুল ইসলামের ভূমিকা || পার্ট - ১

 আলোচ্য বিষয়সমূহঃ

 ১. বাংলা সাহিত্যে কাজী নজরুল ইসলামের কৃতিত্ব।

 ২. জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের কাব্য চেতনা।

৩. নজরুলের কবিতার বিষয়বস্তু।

৪. সাম্যবাদী কবি হিসাবে নজরুলের ভূমিকা।

৫. নজরুলের কবিতায় প্রেম চেতনা।

৬. নজরুলের কবিতায় প্রকৃতি প্রেমের স্বরূপ।

৭. বিদ্রোহী কবি হিসাবে কাজী নজরুলের আবির্ভাব।

 

বাংলা সাহিত্যে কাজী নজরুল ইসলামের কৃতিত্বঃ

বাংলা সাহিত্য গগনের এক অত্যুজ্জল নক্ষত্র কবি নজরুল ইসলাম। বাংলা সাহিত্যের এমন কোন ক্ষেত্র নেই যেখানে তাঁর পদচারণা নেই। কবিতা, গল্প, উপন্যাস, নাটক, প্রবন্ধ, গান, নাচ, অভিনয়, ইসলামী সঙ্গীতসহ আরোও বহু ক্ষেত্রে তাঁর অবদান অনস্বীকার্য। তবে এতো সব বিষয়কে ছাপিয়ে গিয়ে তিনি হয়ে উঠেন বাংলা কাব্যের রাজাধিরাজ। তৎকালীন সময়ের সাহিত্য ও সমকালীন সময়ের সাহিত্যে কাজী নজরুল ইসলামের শ্রেষ্ঠত্ব কবি হিসেবেই অত্যাধিক খ্যাত।  বাংলা কবিতায় অন্য সকল কবিরা যখন সাধারণ গতাণুগতিক ধারায় কবিতা রচনা করছিলো, তখন নজরুল ইসলাম  সমসাময়িক অন্যায়-অত্যাচারের বিরোদ্ধে কলম ধরেন। তিনি যেমন সারাজীবন দুঃখ-কষ্টকে সঙ্গী করে বড় হয়েছেন, তেমনি তিনি অভাবী, গরিব, দুঃখী, অবহেলিত, অত্যাচারিত মানুষের পক্ষ নিয়ে ব্রিটিশ শোষণের বিরোদ্ধে কথা বলেন এবং বহুবার কারাবরণ করেন। তাঁর কলমী আন্দোলন ও চেতনার বহিঃপ্রকাশ স্বরূপ নির্মাণ করে বিদ্রোহী কবিতা। আর তাই  প্রতিবাদী নজরুল ইসলাম হয়ে উঠেন, বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলাম।

দেশের মানুষের দৈন্যদশা ও নির্যাতিত মানুষের পক্ষাবলম্বনের মধ্য দিয়ে ফুটে ওঠে তাঁর দেশ প্রেম। সাপ্তাহিক ধূমকেতু পত্রিকায় লেখার মধ্য দিয়ে তিনি সাহিত্যের দরবারে পুরোপুরি প্রবেশ করেন। হয়ে ওঠেন ব্রিটিশ শাসনের বিরোদ্ধে আরো বেশি সোচ্চার। অসাম্য ও অসত্যের বিরোদ্ধে তিনি শুরু করেন প্রচন্ড বিদ্রোহ। মুসলিম জাতিকে তাদের অতীত এতিহ্যের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে শুনিয়েছিলেন জাগরণের বাণী। তিনি দেশবাসীকে আহবান জানিয়েছিলেন পরাধীনতার শৃংখল ভেঙ্গে দিয়ে মুক্ত-স্বাধীন জীবনের প্রতি এগিয়ে আসতে। এতে নজরুলের দেশপ্রেম কতটা প্রখর ছিলো বোঝা যায়। ‘সাম্যবাদী’ কাব্যটি তাঁর প্রতিবাদী কাব্যের অন্যতম। এছাড়াও তাঁর উল্লেখযোগ্য কাব্যগুলো হলো- অগ্নিবিনা,    সঞ্চিতা , ফনিমনসা , চক্রবাক, মরুভাস্কর ইত্যাদি। 
 
বর্তমানে প্রাতিষ্ঠানিকভাবে কাজী নজরুল ইসলামের  যেসব কাব্য পড়ানো হয় তার মধ্যে ‘সাম্যবাদী’, ‘চক্রবাক’, ‘ফনিমনসা’ ও ‘অগ্নিবিনা’ কাব্য অন্যতম। বর্তমানে যেসকল শিক্ষার্থীরা বাংলা সাহিত্যে অধ্যায়নরত আছেন, তাদের বাংলা সাহিত্যে নজরুল কাব্য সম্পর্কিত প্রশ্ন ও এর উত্তরের দিকটি মাথায় রেখে ‘সাম্যবাদী’, ‘চক্রবাক’, ও ‘অগ্নিবিনা’ কাব্য নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করবো ইনশা আল্লাহ।
 

 জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের কাব্য চেতনাঃ

 সাহিত্যের সকল শাখায় বিচরণ করলেও তাঁর কবিতার প্রতি বিশেষ দরদ। সব বিষয়কে ছাপিয়ে গিয়ে তিনি হয়ে উঠেন বাংলা কাব্যের রাজাধিরাজ। তৎকালীন সময়ের সাহিত্য ও সমকালীন সময়ের সাহিত্যে কাজী নজরুল ইসলামের শ্রেষ্ঠত্ব কবি হিসেবেই অত্যাধিক খ্যাত।  বাংলা কবিতায় অন্য সকল কবিরা যখন সাধারণ গতাণুগতিক ধারায় কবিতা রচনা করছিলো, তখন নজরুল ইসলাম  সমসাময়িক অন্যায়-অত্যাচারের বিরোদ্ধে কলম ধরেন।
সাহিত্যিক গুণাগুন ও বৈশিষ্ট বিবেচনায় তিনি জাত কবিদেরকেও ছাড়িয়ে গিয়েছেন এবং তাঁর কাব্য রচনা এক অনন্য মাত্রায় স্থান পায়। তাঁর কবিতার শব্দ, বাক্যগঠন, ছন্দ ও ভাষা এতোটাই প্রাঞ্জল যে, সমসাময়িক কবিরা তাঁর ধারে কাছেও ভিরতে পারেন নি। স্বদেশী ভাষা ছাড়াও অসংখ্য বিদেশী ভাষার শব্দ তাঁর কবিতাকে অলংকৃত করে।


কাব্য রচনার ভাষাশৈলী শিল্পের উচ্চমান দখল করে আছে। তিনি কাব্য রচনার ক্ষেত্রে আরবি, ফারসি, হিন্দি ও উর্দু শব্দের প্রয়োগ করেন। তিনি এমন কিছু বিদেশী শব্দ কবিতায় ব্যবহার করেছেন, যেগুলো সহজেই বাংলা শব্দের সাথে মিলে গিয়েছে। এমনকি অনেক শব্দকে বাংলা বলেই মনে হয়। ভিন্ন রূপটিও দেখিয়েছেন, যেমন- জাহান্নাম, ঈমান, আসমান, হিম্মত, জানাজা শব্দগুলো বাংলা শব্দের রূপ দিতে চাইলেও তা আরবি-ফারসিই রয়ে গেছে। তাঁর ফারসি ভাষা ও আরবি ভাষা বেশ সমালোচিত ও বিতর্কত; তথাপি তিনি ব্যক্তিগত ধরনে বিশ্বাসী ছিলেন। বাংলা ব্যাকরণের নিয়ম কিংবা বাগ-বিধানের প্রতি এতোটা খেয়াল করেননি। নিজস্ব ধরন প্রকাশ পেয়েছে কবিতায় এবং কাব্য নির্মানের যাদু জানা ছিলো তাঁর।

যেহেতু এই বিষয়ের আলোচনা কিছুটা দীর্ঘ হবে, তাই কয়েকটি পর্বে লেখার চেষ্টা করছি। প্রতিটি পর্বের লিংক নিচে দেওয়া থাকবে, আপনারা ক্লিক করেই অন্য পর্বের আর্টিকেলটি পড়তে পারবেন। এই পর্বটি এখানেই শেষ করলাম।
 
 

পার্ট-২ পড়তে ক্লিক করুন

পার্ট-৩ পড়তে ক্লিক করুন।

 

সাম্যবাদী কবি হিসাবে নজরুলের ভূমিকা অংশটি পড়তে ক্লিক করুন এই লিংকে-
 
নজরুলের কবিতায় প্রেম চেতনা অংশটি পড়তে ক্লিক করুন এই লিংকে-
 
নজরুলের কবিতায় প্রকৃতি প্রেমের স্বরূপ অংশটি পড়তে ক্লিক করুন এই লিংকে- 
 
বিদ্রোহী কবি হিসাবে কাজী নজরুলের আবির্ভাব অংশটি পড়তে ক্লিক করুন এই লিংকে-
 
 
কাজী নজরুল ইসলামের ‘সাম্যবাদী’ কাব্যের বিষয়বস্তু কী? ‘সাম্যবাদী’ কাব্যের মূলভাব আলোচনা কর। ‘সাম্যবাদী’ কাব্যে ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনের  স্বরূপ বিশ্লেষণ করো। ‘সাম্যবাদী’ কাব্যে কাদের সাম্যের কথা বলা হয়েছে?
‘সাম্যবাদী’ কাব্যের নাম কবিতা ‘সাম্যবাদী’র মূলভাব আলোচনা করো।
‘সাম্যবাদী’ কাব্যের ‘মানুষ’ কবিতার মূলসুর কি?
‘সাম্যবাদী’ কাব্যে ‘বারাঙ্গনা’ ও নারী কবিতায় কোন বিষয়ে আলোকপাত করা হয়েছে? পড়তে ক্লিক করুন।
 
 
‘চক্রবাক’ কাব্যের মূলভাব আলোচনা করো। ‘চক্রবাক’ কাব্যের বিষয়বস্তু কি? ‘চক্রবাক’ কাব্যে প্রেমের স্বরূপ ফুটে ওঠেছে আলোচনা করো। ‘চক্রবাক’ কাব্যের নাম কবিতা ‘চক্রবাক’ সম্পর্কে ব্যাখ্যা করো। ‘চক্রবাক’ কাব্যের  ‘কুহেলিকা’ কবিতার ভাববস্তু কী? ‘চক্রবাক’ কাব্যের ‘তোমারে পড়িছে মনে’ কবি কার কথা মনে করে কবিতাটি রচনা করেন? পড়তে ক্লিক করুন।
 




 

No comments:

Post a Comment

Thanks for your comment