আমাদের অনেকেরই প্রশ্ন ব্যবসায়িরা পন্য বিক্রয়ের ক্ষেত্রে মুনাফা ধরে তা ইসলামের দৃষ্টিতে কতটুকু জায়েজ?
ইসলামের দৃষ্টিতে কোন লাভের সীমা নির্ধারণ করা আছে কিনা যে, এর চেয়ে বেশি লাভ করা যাবেনা, তা জানার চেষ্টা করবো ইনশা আল্লাহ।
এ প্রসঙ্গে সূরা আলে ইমরানের ২৯ নং আয়াতে এই বিষয়ের মূলনীতি নিয়ে বলা হয়েছে- “ হে ঈমানদারেরা তোমরা একে অন্যের সম্পদ অন্যায়ভাবে ভোগ করোনা, তবে তোমরা একে অন্যের সম্পদ ভোগ করতে পারো কেনা-বেচার মাধ্যমে।”
এই আয়াত থেকে আমরা যা বুঝতে পারলাম, তা হলো কোন বিক্রেতার নির্ধারিত দামে কোন ক্রেতা সেই পন্য খুশি মনে কিনতে রাজি থাকলে বিক্রেতার জন্য সেই লাভ জায়েজ আছে।
এছাড়া বিক্রয়ের ক্ষেত্রে লাভের কোন পার্সেন্টেজ নির্ধারিত করে দেওয়া হয় নি। কোরআন কিংবা হাদিসে এর বেশি তেমন কিছু পাওয়া যায়নি।
কিন্তু পন্য বিক্রি করতে গিয়ে তিনটি কথা গুরুত্ব সহকারে মাথায় রাখতে হবে। তা হলো-
১. বিক্রেতা এমন কোন মিথ্যের আশ্রয় নিতে পারে যাতে ক্রেতা রাজি হয়ে যেতে পারে। যেমন- বিক্রেতা বলল আমার পন্য এতো টাকায় কেনা, আসলে এর থেকে কমে কেনা। এরূপ মিথ্যে বলা যাবে না।
২. কোন পন্যের দাম ক্রেতার জানা নাই ভেবে বিক্রেতা যদি চড়া মূল্য হাকিয়ে নেয়। এরকম করাটা অন্যায় হবে। নবী করিম (সঃ) বলেন, সেই লোক আমার উম্মত হতে পারেনা, যে ধোকা দিয়ে ক্রেতার কাছ থেকে অতিরিক্ত দাম নেয়।
৩. পুরাতন পন্যকে নতুন বলে প্রতারণা করা জায়েজ হবেনা।
রাসুল (সঃ) বলেছেন, আল্লাহ সুবহানা ওয়া তায়ালা ওই ব্যক্তির উপর রহম করবেন, যে ব্যক্তি বিক্রি করার সময় কোমলতার পরিচয় দেয়।
যার সাথে লেনদেন করবে তার জন্য যেনো লেনদেন সহজ হয়। খুব বেশি চড়া মূল্য, অনৈহ্য মূল্য বা অযুক্তিক মূল্য, যা ক্রেতার জন্য কষ্ট হয়ে গেলো, সেটা মুমিনের চরিত্র হতে পারেনা। খেয়াল রাখতে হবে ক্রেতার জন্য তা যেনো জুলুম হয়ে না যায়, খুব কষ্ট যেনো না হয়। এটাই নৈতিক হবে। তবে একে হারাম বলা যাবেনা।
সূত্র: শায়খ আহমাদুল্লাহ
#ইসলামে ব্যবসায়-বাণিজ্যের বিধান; #বেচা-কেনায় কতটুকু লাভ করা শরীয়তে জায়েজ; #বিক্রেতা কতটা লাভ করতে পারবে; # পন্য বিক্রয়ে জুলুম না করা; #ইসলামি শরীয়তে পন্য কেনাবেচা; #ক্রেতার সাথে মিথ্যা বলে বিক্রি করা;
No comments:
Post a Comment
Thanks for your comment