একলা পথে
মোঃ অলিউল্লাহ্
উনুনে থাকা তপ্ত জলগুলো যেমন টগবগ করতে করতে চারিপাশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে,
তেমনি কিছু অনিয়ন্ত্রিত আকাঙ্ক্ষা বহি:প্রকাশের অভিপ্রায়ে আর্তনাদ করে।
জানো, অনেক ত্যাগী আর উৎসর্গপরায়ণ ছেলে আছে যারা কাউকে পাওয়ার জন্য কিংবা
তাকে সারা জীবনের স্থায়ী কেউ হিসাবে পাবার জন্য দিব্যি পিছন পিছন হাটতে
থাকে সেই মানুষটির। আকাশের সূর্য্যটির মতোই সেই মানুষটিকে অনুসরণ করতে থাকে
সারাক্ষণ।
আর তেমনটি দুঃসাহস কোন কালেই হয়নি আমার, তুমি বলতে পারো যে আমার তোমার প্রতি অনুরাগের ঘাটতি ছিলো। হয়তো ভাবতে পারো আমি ঠিক
তেমনটি বখাটে বা বিরক্তিকর কেউ হতে পারিনি, যেটা অনাকাঙ্ক্ষিত হলেও তুমি
মাঝে মাঝেই চাইতে কেউ একজন তোমার জন্য এতটা পাগলামি করুক,যাতে তোমায় সে
বাধ্য করতে পারে অথবা বলতে পারো তোমায় সে অর্জন করতে পারে। আবার এও বলতে
পারো যে, আমার ব্যক্তিত্ব হারানোর ভয় ছিলো। তুমি আমায় অপবাদ দিতেই পারো
যে,আমার ব্যক্তিত্বকে জলাঞ্জলি দিতে পারিনি বলে, আমি তোমার হতে পারিনি,
যেটা অন্যসকল ছেলেরা করে (যতক্ষণ না একটা মানুষ রাজি হয়,ততক্ষণ তার পিছু না
ছাড়া)।
তবে কি জানো, সামনে
পিছনে হাটার কোনটাই আমি ভাবিনি, সারাক্ষণ শুধু ভেবেছি আর আফসোস করেছি,যদি
একটিবারের জন্য তোমার পাশে হাটতে পারতাম। তোমার কোমল হাতটি ছুয়ে মস্তবড়
জারি খাওয়ার মতো নির্লজ্জ আমি হতে পারবোনা বলে, সে আশাটুকু অঙ্কুরেই মাথা
থেকে নামিয়ে ফেলেছি।
কিন্তু তোমার দিগন্ত বিস্তৃত ওই চাহনির প্রেমে
পড়ে দু’য়েক মুহুর্ত উন্মাদের মতো কাটিয়ে দেওয়ার ক্ষেত্রে কখনোই
ভিরু-কাপুরুষের পরিচয় দিতাম না। তুমি চাইলে হয়তো সারাটা জীবনের জন্য
দিবানৈশ প্রহরী হয়ে মধ্যরাতের জোৎন্সায় সমুদ্র দেখার মতো করে কাটিয়ে দিতাম।
এমনটি আর তোমার বেলায় ঘটবে কি করে! তাহলে কি আর আজো তোমায় সামান্যও কিছু
না বলে থাকতে পারতাম?
বড্ড পারলাম কিন্তু। না বলা কথাগুলো, ভেতরে চাপা রেখে দিব্যি একাই পথ চলছি। যদিও তুমি...............................
No comments:
Post a Comment
Thanks for your comment